বিভিন্ন আইসিডিএস কেন্দ্রে হানা দিয়ে মজুত চাল চুরির ফন্দি এঁটেছিলেন হুগলির দুই যুবক। সে জন্য পিক আপ ভ্যান কিনেছিলেন তাঁরা। এ-জেলা ও-জেলা ঘুরে সকলের চোখের আড়ালে দিব্যি চলছিল দুষ্কর্ম। শেষমেশ বাঁকুড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল চুরি করে ধরা পড়লেন দুই বন্ধু। কোতুলপুর থানার ডেওপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে হুগলি থেকে মানিকজোড়কে পাকড়াও করেছে কোতুলপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১১ অক্টোবর রাতে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ডেওপাড়া আইসিডিএস কেন্দ্রে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যায় কয়েক বস্তা চাল এবং তেলের টিন। এ নিয়ে কোতুলপুর থানায় অভিযোগ করেন আইসিডিএস কর্মী রবিরানি পণ্ডিত।
চুরির রকম দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায় যে, এই ঘটনার সঙ্গে ‘পেশাদার’ কোনও চক্র জড়িয়ে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় সোমবার রাতে আরামবাগ থানার তারালি গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত খান এবং সিঙ্গুর থানার যমপুকুর গ্রামের বাসিন্দা অরিজিৎ ধাড়াকে গ্রেফতার করে তারা। উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া চাল-সহ চুরির কাজে ব্যবহৃত পিক আপ ভ্যানটিও। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পিক আপ ভ্যানটি তাঁরা কিনেছিলেন চুরির কাজের জন্য! বিভিন্ন জেলার আইসিডিএস কেন্দ্রে হানা দিয়ে এ ভাবেই চাল চুরি করে বেড়াতেন। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন জেলায় কমবেশি ২৫টি আইসিডিএস কেন্দ্রে চাল চুরি করেছেন। পরে সেগুলো খোলাবাজারে চড়া দামে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন:
অধিকাংশ গ্রামেই আইসিডিএস কেন্দ্রটি থাকে একটি প্রান্তে। আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার তেমন কোনও ব্যবস্থাও থাকে না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই চক্র দিনের পর দিন ‘চুরিবিদ্যা’ সফল করেছে। মঙ্গলবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে এ ব্যাপারে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।