Advertisement
E-Paper

বেঙ্গালুরু থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার! বীরভূমের কাঁকরতলায় তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত তাঁরা

কাঁকরতলার বড়রা গ্রামে তৃণমূল কর্মী শেখ নিয়ামুলকে পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের ঘটনায় এর আগে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১৭:১২
ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

ধৃতদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

বীরভূমে কাঁকরতলায় তৃণমূল কর্মীকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে পাকড়াও করে রাজ্যে আনা হয়েছে। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

কাঁকরতলার বড়রা গ্রামে তৃণমূল কর্মী শেখ নিয়ামুলকে পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের ঘটনায় এর আগে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ আকবর। কিন্তু বাকি অভিযুক্তেরা অধরা ছিলেন। তাঁরা ভিন্‌রাজ্যে গা ঢাকা দেন বলে খবর পায় পুলিশ। বেশ কিছু দিন ধরে তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, পাঁচ অভিযুক্ত রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁদের পাকড়াও করতে বীরভূম জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল কর্নাটকে যায়। তার পর অভিযুক্তদের গোপন আস্তানা থেকে আটক করে বীরভূমে আনা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতেই ধৃতদের বীরভূমে আনা হয়। শনিবার ধৃত শেখ সাদ্দাম, শেখ লালন, শেখ নইমুল, শেখ ফিরদৌস এবং শেখ শরফুদ্দিনকে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত তাঁদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

ঘটনার দিন কাঁকরতলা থানার বড়রা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন নিয়ামুল। ওই তৃণমূল কর্মীকে বড়রা গ্রামের গরিবপাড়া সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক জনকে আটকান। বাইক থেকে নামিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ। চলে রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে মারধর। পরে নিয়ামুলকে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেন স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁরা দাবি করেন ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি নেতৃত্ব। এর আগে জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত ধরা হবে। মৃতের পরিবারের তরফে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।

TMC workers arrest TMC Birbhum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy