বেপরোয়া গতিতে বাইক ছুটিয়ে স্কুলগামী একের পর এক খুদে পড়ুয়াকে জখম করলেন এক যুবক। কারো কেটেছে হাত, কারও পা ছড়েছে। বাইকের ধাক্কায় কারও আঘাত আরও গুরুতর। বুধবার এ নিয়ে শোরগোল বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বালিগুমা গ্রামে। আহত আট পড়ুয়ার চিকিৎসা হয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ বালিগুমা সাঁওতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া দল বেঁধে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইক তাদের ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে পাঁচ পড়ুয়া। কিন্তু পাঁচ জনকে ধাক্কা মেরেও ক্ষান্ত হননি বাইকচালক। তিনি বাইক উঠিয়ে আবার স্টার্ট দেন। আবার বেপরোয়া গতিতে বাইক নিয়ে ধাক্কা মারেন তিন পড়ুয়াকে। মোট আট পড়ুয়া জখম হয় একই বাইকের ধাক্কায়।
কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়েরা শিশুদের চিকিৎসা করান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে অভিভাবকেরা উপস্থিত হন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
বাইকচালককে সকলে যখন খুঁজছেন, তখন হাসপাতালে উপস্থিত হন অভিযুক্তের ভাই। তিনি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে জানান, দাদা মানসিক ভাবে অসুস্থ। বাড়ির সকলের অজান্তে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন দাদা। হাসিফুল মণ্ডল নামে ওই যুবক বলেন, ‘‘অনেক বার নিষেধ করা সত্ত্বেও বাড়ির বাইক নিয়ে ও রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিল। রাস্তায় বাইকের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। ও যাতে আর রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরোতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতন থাকব।”
আরও পড়ুন:
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বালিগুমা সাঁওতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রবীর মন্ডল বলেন, “স্কুলে যাওয়ার পথে ওই পড়ুয়াদের ধাক্কা দেয় একটি বাইক। অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে জানতে পেরেছি।’’