E-Paper

তৃণমূল কর্মীদের ‘কোপ’, বিজেপি নেতা গ্রেফতার

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , ওই গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতির দায়িত্বে আছেন উজ্জ্বল। অভিযোগ, তিনি ধারালো অস্ত্র হাতে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ০৭:৫১
ধৃত সুমন্ত মণ্ডল। মঙ্গলবার সিউড়ি আদালতে।

ধৃত সুমন্ত মণ্ডল। মঙ্গলবার সিউড়ি আদালতে। — নিজস্ব চিত্র।

দুই তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত নেতার নাম সুমন্ত ওরফে উজ্জ্বল মণ্ডল। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ সাঁইথিয়ার পারগ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের এক সহকর্মীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তার প্রতিবাদ করায় ধারলো অস্ত্র নিয়ে ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালান তিনি। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক আক্রোশে মিথ্যা অভিযোগ ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে ওই নেতাকে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , ওই গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতির দায়িত্বে আছেন উজ্জ্বল। অভিযোগ, তিনি ধারালো অস্ত্র হাতে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হন। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় আরও এক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হন। তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই বুথে প্রায় ৭৫টি ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে শাসকদল তাদের পিছনে ফেলে প্রায় ৩১টি ভোটে এগিয়ে যায়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারপর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

বিজেপির সংশ্লিষ্ট ৪ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই বুথ সভাপতি এলাকায় আমাদের সংগঠন বৃদ্ধি কাজ করছিলেন। শাসকদলের লোকেরা তাঁকে ভোটের আগে বসে যেতে বলেছিলেন। তিনি শোনেননি। সেই আক্রোশে শাসকদলের লোকেরাই ওর উপরে চড়াও হয়। তার পরে ওঁকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’’

তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট সাংড়া অঞ্চল কমিটির সভাপতি সাধন মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই বিজেপি নেতা আমাদের এক কর্মীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামী-সহ আরও এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে।’’ পুলিশ জানায়, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিশি নজরদারি রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Death

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy