প্রতীকী ছবি।
এক বিজেপি সমর্থকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের মল্লারপুর। মঙ্গলবার সকালে ওই ব্যক্তির দেহ তাঁর বাড়ির কাছেই একটি গাছে ঝুলতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে দেহটি। যদিও ওই ব্যক্তির পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেনি। এমনকি তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলেও দাবি পরিবারের।
মৃত ব্যক্তির নাম পূর্ণচন্দ্র লাহা। তাঁর বাড়ি মল্লারপুর থানার বড় তুড়ি গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসীরাই তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশে খবরও দেন। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহটি। মল্লারপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বহু বিজেপি সমর্থককে খুন করে তাঁদের দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটিরও আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা এই মুহূর্তে নৈরাজ্যের রাজ্যে বাস করছি। একের পর হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। তার পরও প্রশাসন চুপ।’’ ওই বিজেপি সমর্থকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শমীকও।
মৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, তিনি আদপেই বিজেপি সমর্থক নন। পূর্ণচন্দ্রের বড় ভাগ্নে অসীমকুমার সাহার দাবি, তাঁর মামা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনও দিনই যুক্ত ছিলেন না। তবে গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির ছোট ভাগ্নে এলাকার কয়েক জনের থেকে টাকা ধার করে পালিয়ে যাওয়ায় পূর্ণচন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছিল। এলাকাবাসীদের একাংশের ধারণা, পাওনাদারদের কেউ এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
মৃত ব্যক্তির ছেলে আকাশ লাহা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর ধারণা বাবাকে কেউ খুনই করেছে। তিনিও জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তাঁর বাবাকে। এর মধ্যে কয়েক জন বাড়িতে এসে তাঁর বাবাকে ডেকে নিয়েও যান বলে জানিয়েছেন আকাশ। মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধরও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy