দিনে দুপুরে কৌশলে মাটি পাচারের অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্লাস্টিকে মুড়ে ট্রাক্টরে করে দেদার মাটি পাচার চলছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। অবাধে মাটি কাটার ফলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে জোড়শ্রেণি মন্দির, কালাচাঁদ মন্দির, মল্লরাজাদের হাওয়ামহল চত্বর-সহ নানা ঐতিহাসিক স্থানে থাকা টিলাগুলি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগেই বিষ্ণুপুরের বাসন্তীতলায় কৌশলে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে ট্রাক্টর থেকে কিছুটা মাটি রাস্তায় পড়ে যেতেই সত্য সামনে আসে। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ট্রাক্টর নিয়ে চম্পট দেয় মাটি কারবারিরা। তবে মঙ্গলবার সকালেই বিষ্ণুপুর বাইপাস কাটানধার এলাকায় চালক-সহ ওই মাটি বোঝাই ট্রাক্টরটি আটক করেছে পুলিশ। ভূমি দফতর নির্দিষ্ট জরিমানাও ধার্য করেছে।
তবে বাসিন্দাদের দাবি, নালিশ, ধরপাকড় চললেও মাটি পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য এতটুকু কমছে না। ভূমি দফতরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছে পাচারে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের চালক। ভোর থেকে বিষ্ণুপুরের কাটনধার, শিরোমণিপুর, চূড়ামণিপুর, ময়রাপুকুরের মতো এলাকা থেকে মাটি কেটে প্লাস্টিকে ঢেকে বালির নামে পাচার করছে একদল। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাটি বা মোরাম পরিবহণের অনুমতি ভূমি দফতর দেয় না। মাটি পরিবহণ করতে গিয়ে ধরা পড়লে জরিমানা ধার্য করা হয়। মোরামের ক্ষেত্রে পথ নির্দেশিকা, মৌজা, পরিমাণ-সহ নানা বিষয় উল্লেখ করে মহকুমার ভূমি দফতরে আবেদন জানাতে হয়। সরেজমিনে সব খতিয়ে দেখে সরকারি নিয়ম মেনে চালান কাটা হয়।”
তাঁর সংযোজন, “রাজস্ব দিয়ে মাটি কেটে পরিবহণের সরকারি কোনও নিয়ম এখনও নেই। সেই পদ্ধতিতেও মাটি পাচার ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ নেবে ভূমি দফতর।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)