মুরারই: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বীরভূমের মুরারই থানার দক্ষিণা কাশিল্যা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের নাম সুদীপ মাল (২৯)। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ১০০ ফুট দূরত্বে ধান জমিতে সুদীপের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় সুদীপের স্ত্রী রচনা মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত, সুদীপের ভাই প্রদীপ পলাতক।
দক্ষিণ কাশিল্যা গ্রামের মালপাড়ায় সুদীপ থাকতেন বাবা-মা-স্ত্রী ও ভাইয়ের সঙ্গে। পেশায় প্রান্তিক চাষি সুদীপের চার মাস আগেই নলহাটি থানার গোঁসাইপুরের মেয়ে রচনার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পরে রচনার সঙ্গে দেওর প্রদীপের সম্পর্কের কথা জানতে পারে পরিবার। সুদীপের সৎ ভাই সন্দীপ মালের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় বাবা তাঁর বাড়িতে
ছিলেন। মা কাপড় সেলাই করার কাজে
অন্য জায়গায় ছিলেন। সুদীপের স্ত্রী ছিলেন বাপের বাড়িতে। সুদীপ সন্ধ্যায় একা বাড়িতে মোবাইল দেখছিলেন।
সন্দীপের অভিযোগ, ‘‘ওই সুযোগে প্রদীপ দাদাকে ভোজালি দিয়ে খুন করে দেহ বাড়ি থেকে ১০০ ফুট দূরত্বে ধানজমিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পাড়ার লোকেরা বাড়ির সামনে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয়। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখে সুদীপ বাড়িতে নেই। মোবাইল মাটিতে পড়ে আছে। মেঝেয় রক্তের দাগ।’’ এলাকা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাড়ার লোকেরা মাটিতে পড়ে থাকা রক্তের দাগ অনুসরণ করে ধানজমিতে সুদীপের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
সন্দীপ পরে প্রদীপ ও রচনার নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। সুদীপের স্ত্রী রচনাকে বাপের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ পাঁচ দিনের নিজেদের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। রচনার বাবা বিজয় মালের দাবি, “ঘটনার সময় মেয়ে বাড়িতেই ছিল। জামাইকে ওর ভাই খুন করে পালিয়েছে। মেয়ের কোনও দোষ নেই।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)