এক যুবকের রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা বীরভূমের বোলপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দপল্লির ক্যানেলপাড় এলাকায়। মৃতের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে যুবককে। নেপথ্যে প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবার রয়েছে। যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর ‘প্রেমিকা’র বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতায়। পরিস্থিতি সামলাতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রোহিত সাউ। বয়স ২৩ বছর। বোলপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। বুধবার সকালে একটি বাড়ির বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রোহিতের মৃত্যুর নেপথ্যে তাঁর ‘প্রেমিকা’র বাড়ির লোকজনের হাত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রোহিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বোলপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই এক যুবতীর। তিনি বিধবা। বছর চারেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় সেই যুবকের। খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই রহস্যের সমাধান হয়নি। তবে ওই যুবতী আবার বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সংসারও টেকেনি। অসমর্থিত সূত্রে খবর, দ্বিতীয় স্বামী আত্মহত্যা করেছিলেন। তার পর বছর দেড়েক ধরে রোহিতের সঙ্গে ওই যুবতীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
আরও পড়ুন:
বুধবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রোহিতের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর ‘প্রেমিকা’র বাড়িতে এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামলাতে বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল নিজে যান এলাকায়। পাঠানো হয় পুলিশ বাহিনী। জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে ওই যুবতী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মৃতের ভাই বলেন, ‘‘এটা খুন। দাদার প্রেমিকাই জড়িত। দাদা আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়। ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া দাদার আংটি, হার উধাও। খুনের পর সেগুলো খুনিরা নিয়ে গিয়েছে। আমরা দোষীদের সকলের কঠোর শাস্তি চাই।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে।