কোথা থেকে মৃতদেহের অংশ ধর্মীয় স্থানে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যে। —নিজস্ব চিত্র।
আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থানে মৃতদেহের অংশ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি নির্মীয়মাণ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বীরভূম জেলার বোলপুরে ওই ঠিকাদারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার আদিবাসীরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারেরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বোলপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বোলপুর থানার মুলুক সুখবাজার গ্রামের বাইরে একটি পুকুরপাড়ে আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থানে মৃতদেহের অংশ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার পাশেই একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ করা হচ্ছে। তার ঠিকাদারেরাই এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আদিবাসীদের।
ধর্মীয় স্থানে মৃতদেহের অংশ পুঁতে রাখার খবর ছড়াতেই মঙ্গলবার সকালে তা নিয়ে মুলুক সুখবাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কোথা থেকে মৃতদেহের অংশ ধর্মীয় স্থানে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘পাশেই একটি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। মৃতদেহের অংশ এখানে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আসার পর বিক্ষোভ দেখাতে থাকি। তার পর সেগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ঠিকাদারেরা। তাঁদের দাবি, ‘‘এখানে কিছু বর্জ্যপদার্থ ছিল। সেগুলোই পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’
মঙ্গলবার ঘটনায় খবর পেয়ে মুলুক সুখবাজার এলাকায় পৌঁছয় বোলপুর থানার পুলিশ। গোটা বিষয়টাই তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy