শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ায় কোপাই নদীর পাড়ে অনুপম হাজরা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
শুধু বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলই নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও অনেক তৃণমূল নেতাই এ বার দিল্লি যাবেন বলে দাবি করলেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় সচিব অনুপম হাজরা। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে এই দাবি করেন তিনি। যদিও এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে অনুব্রতের অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলবে কি না প্রসঙ্গে এ দিন অনুপম বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল তো অনুপস্থিত। আরও অনেকে অনুপস্থিত হয়ে যাবেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ডিসেম্বর আসতে দিন, অনুব্রতের কাছাকাছি অনেক মানুষ দিল্লি যাবেন। তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে কেউ যদি ভাবেন বেঁচে যাবেন তা হলে ভুল ভাবছেন।’’ পাশাপাশি অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের কয়েক জন নেতার মন্তব্যের সমালোচনা করেন অনুপম। বলেন, “বুদ্ধদেববাবু একজন নিপাট ভদ্রলোক। ওঁর সম্পর্কে অশিক্ষিত তৃণমূল কী বলছে তাতে কিছু যায় আসে না।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রার প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে।
এ দিন কোপাই নদীর পাড় দখল হয়ে যাওয়া নিয়েও সরব হন অনুপম। দুপুরের গোয়ালপাড়া লাগোয়া কোপাই নদীর পার পরিদর্শন করে অনুপম। তিনি বলেন, “ কবি যেখানে লিখে গিয়েছেন আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকের মতো কবিতা, সেখানে আজ পুরো নদীই দখল হয়ে যাচ্ছে।’’ এ নিয়েও তৃণমূলকে নিশানা করেন অনুপম। যদিও তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনুপম নিজেকে আবার রাজ্য কমিটির কাছে ভাসিয়ে তোলার জন্য প্রলাপ বকছেন। অনুব্রত না থাকলেও তার শক্তিশালী সংগঠন আগামী লোকসভা নির্বাচনের দু’টি আসনই তৃণমূল দখল করবে। আর কোপাই নদীর পার যদি কেউ সত্যিই দখল করে থাকেন, সেটা আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেউ যুক্ত থাকলে এ ক্ষেত্রে দল রেয়াত করবে না। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy