Advertisement
E-Paper

মিলছে না কমিশন, অভিযোগ

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জেলা খাদ্য দফতরে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩০
মেজিয়া ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দিতে রেশন ডিলারদের সংগঠনের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র

মেজিয়া ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দিতে রেশন ডিলারদের সংগঠনের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র

গত এপ্রিল থেকে কমিশন মিলছে না। কার্যত কোনও রোজগার নেই তাঁদের। এই অভিযোগ তুলে, অবিলম্বে বকেয়া মেটানোর দাবিতে আন্দোলনে নামলেন বাঁকুড়া জেলার রেশন ডিলারেরা। সোমবারই পশ্চিমবঙ্গ এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে বাঁকুড়া ২, তালড্যাংরা, ছাতনা, বড়জোড়া, মেজিয়া, খাতড়া, রাইপুর, সারেঙ্গা, সিমলাপালের মতো কয়েকটি ব্লকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ, মঙ্গলবার জেলার অন্য ব্লকগুলিতেও ওই কর্মসূচি হবে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জেলা খাদ্য দফতরে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা।

পশ্চিমবঙ্গ এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক গুরুপদ ধক বলেন, “গত এপ্রিল থেকে রেশন ডিলারদের কমিশন দেওয়া হয়নি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে আমাদের।” তাঁর দাবি, জেলায় প্রায় বারোশো জন রেশন ডিলার রয়েছেন। গত এপ্রিল থেকে ডিলারদের প্রাপ্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকার কমিশন বকেয়া রয়েছে।

গুরুপদবাবু জানান, করোনা-পরিস্থিতির আগে ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে খাদ্যপণ্য নেওয়ার সময়েই নগদে কমিশন দিয়ে দেওয়া হত। বর্তমানে ওই পদ্ধতি বদলে ডিলারদের বিল বানিয়ে খাদ্য দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ হয়েছে। নতুন প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল বলেই দাবি গুরুপদবাবুর।

২০১৯ সালের এপ্রিলে চাল, গম ও আটায় কুইন্টাল পিছু কমিশন ৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়। কিন্তু বর্ধিত মূল্যে কমিশন এক বারও মেলেনি বলে অভিযোগ ডিলারদের। গুরুপদবাবু বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে রেশন ডিলারদের সব থেকে কম কমিশন দেওয়া হয় এ রাজ্যেই। গত বছর কাগজেকলমে কমিশন কিছুটা বাড়ানো হলেও বর্ধিত মূল্য দেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি, বকেয়া কমিশন মেটানোর সঙ্গে বর্ধিত কমিশনের বকেয়া টাকাও দিতে হবে।”

যদিও বাঁকুড়া জেলা খাদ্য নিয়ামক অমরেন্দ্র রায়ের দাবি, “ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ডিলারকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কমিশন দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে যাঁরা বিল জমা দিয়েছেন, তাঁদেরও কমিশন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’’ ওই ডিলারেরা শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাস তাঁর। অমরেন্দ্রবাবু বলছেন, ‘‘কিছু ডিলার এখনও বিল জমা দিতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে।”

যদিও গুরুপদবাবুর দাবি, “দফতর যা-ই বলুক, এখনও জেলার এক জনও ডিলার কমিশন পেয়েছেন বলে আমাদের কাছে খবর নেই। প্রায় প্রত্যেক ডিলার বিল জমা দিয়েছেন ঠিক সময়ের মধ্যে।” তিনি যুক্ত করেন, “আপাতত ব্লক ও জেলা খাদ্য দফতরে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্মারকলিপি দিয়ে আমাদের দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মিটলে, আগামী অক্টোবর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

Ration Dealer agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy