Advertisement
E-Paper

মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ ইঁদপুরে

আমবাগান পুড়ে গিয়েছে আগুনে। কিন্তু প্রায় বছর দেড়েক আগে সেই বাগানে গাছের চারা পুঁতেছিলেন যাঁরা, এখনও প্রাপ্য মজুরি মেলেনি। শুক্রবার বকেয়া মজুরির দাবিতে ইঁদপুর ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০১:১৪

আমবাগান পুড়ে গিয়েছে আগুনে। কিন্তু প্রায় বছর দেড়েক আগে সেই বাগানে গাছের চারা পুঁতেছিলেন যাঁরা, এখনও প্রাপ্য মজুরি মেলেনি। শুক্রবার বকেয়া মজুরির দাবিতে ইঁদপুর ব্লকের ব্রাহ্মণডিহা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন তাঁরা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের জুলাই এবং আগস্ট নাগাদ ব্রাহ্মণডিহা পঞ্চায়েতের ফুলকুসমা গ্রামের প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বাগানে আমগাছ লাগানো হয়েছিল। তার পাশাপাশি, সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় গাছ লাগানো হয়েছিল। পুরুষদের পাশাপাশি বাগানটিতে গাছ লাগানোর কাজ করেছিলেন ওই পঞ্চায়েত এলাকার ৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অভিযোগ সেই কাজের মজুরি তাঁরা এখনও পাননি। এ দিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফুলকুসমা গ্রামের সেই আমবাগান পুড়ে গিয়েছে আগুনে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জমির মালিকেরা। এ দিন দুপুরে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রায় ২০০ জন মহিলা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বকেয়া মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় আবার নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রশাসন।

এ দিনের বিক্ষোভে সামিল ফুলকুসমা গ্রামের বাসিন্দা আদরি বাউরি, মিঠু বাউরি, প্রতিমা বাউরিরা বলেন, “২০১৪ সালে বাগান তৈরির সময় আমরা চারা গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়ার কাজ করেছিলাম। কেউ ৭ দিন কেউ ১০ দিন করে কাজ করেছি। কিন্তু মজুরি পাইনি।’’ এ দিনের বিক্ষোভের সূত্র ধরে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আমবাগানের জমিদাতারাও। জমিদাতা প্রিয়াশিস পাঠক বলেন, “বাগান রক্ষণাবেক্ষণের কোনও বন্দোবস্ত করেননি পঞ্চায়েত প্রধান। দিনে দুপুরে বাগান পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। এ দিকে প্রধানের গাফিলতিতে মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা।’’ জমিদাতারা এ দিন দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। ব্রাহ্মণডিহা পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের দ্রৌপদী সিংহ সর্দার অবশ্য দাবি করেছেন, প্রকল্পের শ্রমিকদের নাম কম্পিউটারে নথিভুক্ত করার সময় কিছু ভুল হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। টাকা এলেই শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

indpur agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy