পুঞ্চার ধাদকি মোড়ে সোমবার সভা করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার সেখানেই সভা করে ভিড়ের বহরে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়ার দাবি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় এবং এ রাজ্যকে বঞ্চনা করার অভিযোগে এ দিন পুঞ্চা ব্লক তৃণমূল ওই সভার আয়োজন করে।
পুঞ্চা ব্লক তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণপদ মাহাতো দাবি করেন, ‘‘সোমবার বাইরে থেকে (মানবাজার, হুড়া, বরাবাজার ব্লক) লোক এনে বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করে গিয়েছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার নোটিসে পাল্টা জমায়েত করে দেখিয়ে দিলাম, মানুষ কাদের পাশে রয়েছেন।’’ পুলিশের মতে, সোমবার বিজেপির জমায়েতে চারশো মানুষ এসেছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য সাতশো জনের দাবি করেছিলেন। এ দিনের সভায় পুলিশের দাবি, সাত হাজারের বেশি ভিড় হয়েছিল। যদিও পুঞ্চা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি চরণপাহাড়ি দাসের দাবি, ‘‘জমায়েতে ১০ হাজারের বেশি কর্মী এসেছিলেন।’’
যদিও বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘সোমবার পুঞ্চায় আমাদের সভা ছিল না। ওটা কর্মী বৈঠক ছিল। এর আগে মানবাজারে মিছিল করে দেখিয়েছি, কত মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন। আর কয়েক মাস পরেই মানুষ কাদের পাশে রয়েছেন, তা সবাই ভাল করে টের পাবেন।’’
তরজার সূত্রপাত রবিবারের রাত থেকে। বিশেষ সাংগঠনিক সভা উপলক্ষে বিজেপি কর্মীরা ধাদকি মোড় ও পুঞ্চা বাজারে দলীয় পতাকা বাঁধছিলেন।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের বাঁধা পতাকার উপরে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের দলের পতাকা বেঁধে দেন। তা নিয়ে দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সে সময় জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। সুজয়বাবু তাঁদের বলেছিলেন— ‘‘রাম পুরষোত্তম। সকলের নমস্য। তাঁর নাম নিয়ে কেন নোংরা রাজনীতি হবে?’’
সুজয়বাবু এ দিন ভিড় দেখে বলেন, ‘‘কর্মীদের দাবি মেনে ধাদকির মাঠেই জমায়েত করে দেখিয়ে দেব বলেছিলাম। কর্মীরা দলের মান রেখেছেন।’’ মানবাজারের বিধায়ক তথা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু দাবি করেন, ‘‘এলাকায় অশান্তি পাকানোর উদ্দেশ্যে বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে কুৎসা চালাচ্ছে।’’
এ দিন সভায় দলের প্রবীণ নেতা বিষ্ণুচরণ মেহতা, পুরুলিয়া সমবায় ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের সভাপতি শ্যামল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।