Advertisement
E-Paper

অভিযোগ পুরুলিয়া পুরসভায় এক তহবিলের টাকা অন্য খাতে

পুরসভার পশ্চাদপদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করার অভিযোগ উঠল। বিরোধীদ এবং শাসকদলের কাউন্সিলরদের একাংশ একই সঙ্গে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৯

পুরসভার পশ্চাদপদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করার অভিযোগ উঠল। বিরোধীদ এবং শাসকদলের কাউন্সিলরদের একাংশ একই সঙ্গে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন। পুরুলিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, চলতি আর্থিক বছরে বিআরজিএফ (ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড) থেকে আট কোটি টাকা পেয়েছিল পুরসভা। সেই টাকা পানীয় জলের জন্য খরচ করার কথা। তাঁর অভিযোগ, কার্যক্ষেত্রে ওই টাকা দিয়ে দোকানঘর নির্মাণে হচ্ছে। পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিকদের বেতনও দেওয়া হচ্ছে সেই টাকাতেই। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, সব মিলিয়ে ওই তহবিলের প্রায় এক কোটিরও বেশি টাকা অন্য খাতে খরচ হয়ে গিয়েছে।

দেবাশিসবাবুর আরও অভিযোগ, ‘‘২৪ অগস্ট বোর্ড মিটিং-এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে সুযোগই দেওয়া হয়নি।’’ একই অভিযোগ বিরোধীদেরও। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক তহবিলের টাকা অন্য খাতে কী ভাবে খরচ করা হল তার তদন্ত চেয়ে আমি পুর দফতরের সচিবকে চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তাকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে এক তহবিল থেকে টাকা নিয়ে অন্য খাতে খরচ করার নিয়ম নেই।’’

পুরসভার একটি সূত্রের দাবি, জলঘোলা শুরু হওয়ার পরে পুরপ্রধান কে পি সিংহদেও চলতি সপ্তাহে একটি নির্দেশ জারি করে বিষয়টি বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আমি বলে দিয়েছি এক তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করা যাবে না।’’ তবে পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মাহালির দাবি, সীমিত আয়ে পুরসভা কুলিয়ে উঠতে পারে না। কখনও সাময়িক ভাবে অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি দিতে অন্য তহবিলে হাত দিতে হয়। পুরসভার আয় কী ভাবে বা়ড়তে পারে তা নিয়ে বোর্ড মিটিং-এ বিশেষ আলোচনা হয় না বলে তাঁর অভিযোগ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরুলিয়ার উপ-পুরপ্রধান তথা উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সামিমদাদ খান। তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্ত অপপ্রচার। কোনও তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ হয়নি।’’ তবে যে পুরসভার আয় বাড়ানো সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে অচিরেই বোর্ড মিটিং-এ আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Government Fund
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy