Advertisement
E-Paper

শুরু হয়েও আবার পিছোল সাক্ষ্যগ্রহণ

মূল অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে অবশেষে শুরু হল অমিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া। সোমবার সিউড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের এজলাসে ওই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০২:১৩

মূল অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে অবশেষে শুরু হল অমিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া।

সোমবার সিউড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের এজলাসে ওই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। যদিও উপস্থিত সাক্ষী এসআই ত্রিদীপ প্রামাণিকের সাক্ষ্যদানে ত্রুটি রয়েছে— এমন প্রশ্ন তুলে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে আবেদন জানানোয় সাক্ষ্যদান এ দিন সম্পূর্ণ হয়নি। বিচারক নতুন করে আগামী ২৬ এপ্রিল ত্রিদীপবাবুর সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন। এ দিন এমনটাই জানিয়েছেন মামলার সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী।

গত ১৯ জানুয়ারি দুবরাজপুরের এসআই অমিত চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের চার্জ গঠন হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে পরপর তিন বার নির্ধারিত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন বাতিল করতে হয়েছিল আদালতকে। কখনও সরকারি আইনজীবীর দায়িত্বে কেউ না থাকায়, কখনও বা ধৃত এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন না হওয়ায় এবং শেষবার সাক্ষ্যদান পিছিয়েছিল মূল অভিযোগকারী অনুপস্থিত থাকায়।

ত্রিদীপবাবু হাজির থাকায় এ দিন অবশেষে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। জেল হাজতে থাকা অভিযুক্তেরা, তাঁদের আত্মীয় পরিজন, তাঁদের পক্ষের আইনজীবী এবং সরকারি আইনজীবীর উপস্থিতিতে দুপুর ১২টার পরে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। কিছু ক্ষণ সাক্ষ্যদান চলার পরে অভিযুক্তদের পক্ষে থাকা আইনজীবীরা বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন, সাক্ষী ত্রিদীপবাবু তাঁর বাঁ হাতের তালুতে লিখে রাখা তথ্য দেখে জবাব দিচ্ছেন। সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী অবশ্য জবাব দিয়ে দাবি করেন, শুধু মাত্র জেনারেল ডাযেরির নম্বরটুকু লিখে রাখা হয়েছে। তা এমন কিছু দোষেরও নয়। বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার মতো বিষয়ও নয়। তাঁর যুক্তিতে সায় দিয়ে প্রায় একই মতামত দেন বিচারকও।

কিন্তু সে কথা মানতে চাননি অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। বিচারক তখন তাঁদের বলেন, ‘‘আপত্তি থাকলে এ নিয়ে লিখিত আবেদন করুন।’’ অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আবেদন করার পরেই আদালতের মর্যাদার প্রশ্নে যে অংশ নিয়ে আপত্তি, তা বাদ দিয়ে নতুন করে সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য করেন বিচারক। এ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণও স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে তপনবাবু জানান, এ দিন দু’টি জামিনের আবেদনও না মঞ্জুর করা হয়েছে।এ দিকে, বিচার-পর্ব যখন চলছে, তখনই অমিত হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ আলিম শেখের গ্রেফতারির খবর এসে পৌঁছয়। উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘‘শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল লোকটা!’’

Amit Murder Suri court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy