বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং তাঁর বাড়ি ‘ঘেরাও’ করার চেষ্টায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে শান্তিনিকেতন থানায় ই-মেল মারফত অভিযোগ দায়ের করল বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ। তাদের দাবি, অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
এক পদস্থ আধিকারিককে বদলির সিদ্ধান্ত ঘিরে গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীর বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। অভিযোগ, ওই আধিকারিকের অনুগামী হিসেবে পরিচিত কয়ে কজন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ঘেরাও করতে জড়ো হন। উপাচার্যকে না-পেয়ে গোয়ালপাড়ায় তাঁর বাড়িতে পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই লোকজন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে কেন ঘেরাও করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তা পরিষ্কার ভাবে জানা না গেলেও, বিভিন্ন সূত্র মারফত সূত্রের খবর, ওই পদস্থ আধিকারিককে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য জনকে দায়িত্বভার দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি বের হতেই ওই আধিকারিকের অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হন বর্তমান উপাচার্যের উপরে। এই প্রেক্ষিতেই উপাচার্যের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করারও দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের দাবি, “বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম আমরা। তাঁকে অফিসে পাইনি। তিনি টেলিফোন মারফত আমাদের জানান, বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতিতে দফতরে আসতে ভরসা পাচ্ছেন না। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা পুলিশকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন করেছি।”
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নতুন আধিকারিককে তাঁর দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি বদলি হওয়া আধিকারিক। পুলিশ জানিয়েছে, ই-মেল পেয়েছে তারা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy