E-Paper

উদ্যোগী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ছ’মাস পরে ফিরল ছেলে

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েক জন কর্মী এ দিন জানান, দেবজ্যোতির কথা বলার ধরন শুনে বীরভূমের বলে অনুমান করেন তাঁরা। এর পরে ভবানন্দপুর গ্রামের নাম বলে দেবজ্যোতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৭
দেবজ্যোতির (মাঝে) হাত ধরে মা অনিতা মাল। বৃহস্পতিবার রাতে নলহাটি থানা।

দেবজ্যোতির (মাঝে) হাত ধরে মা অনিতা মাল। বৃহস্পতিবার রাতে নলহাটি থানা। নিজস্ব চিত্র।

দুঃস্থ পরিবার। ছ’মাস আগে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল নাবালক ছেলে। পরিবারের দাবি, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার ছবিও ছিল না। ফলে, পুলিশে ডায়েরি করা যায়নি। রামপুরহাট, মুরারই, বোলপুরে খোঁজাখুঁজি করে কোনও সন্ধান না পেয়ে এক প্রকার হালই ছেড়ে দিয়েছিল পরিবার। অবশেষে হুগলির চুঁচুড়া থেকে খোঁজ মিলল তার। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে নিজের পরিবারের কাছে ফিরল সে। ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি থানার ভবানন্দপুর। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালকের নাম দেবজ্যোতি মাল।

চুঁচুড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েক জন কর্মী বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি করে বছর চোদ্দোর দেবজ্যোতিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। তাঁরা জানান, দিন দুয়েক আগে একটি স্থানীয় ছেলে দেবজ্যোতিকে তাঁদের হাতে তুলে দেয়। দেবজ্যোতির পরনে ছিল নোংরা জামাকাপড়। দেখে মনে হচ্ছিল, বেশ কয়েক দিন ধরে খায়নিও। প্রথমে তাকে খাবার দেওয়া হয়। তার পরে পরিষ্কার করে নতুন পোশাক
দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েক জন কর্মী এ দিন জানান, দেবজ্যোতির কথা বলার ধরন শুনে বীরভূমের বলে অনুমান করেন তাঁরা। এর পরে ভবানন্দপুর গ্রামের নাম বলে দেবজ্যোতি। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছিল না সে। ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় নলহাটি থানায় ওই নামের একটি গ্রাম রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে নলহাটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পরে সক্রিয় হয় পুলিশ। পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখে, ভবানন্দপুর থেকে একই নামের এক নাবালককে মাস ছয়েক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের পরিস্থিতির কথা জানতে পারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফেই গাড়ি ভাড়া করে দেবজ্যোতিকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সংস্থার এক কর্মী ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, “ দেবজ্যোতিকে বাড়ি পৌঁছে দিতে পেরে ভাল লাগছে। এর আগে বোলপুরের এক জনকেও বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছি। পরিবারের অবস্থা দেখে আমরাই বাড়িতে ফিরিয়ে দিলাম।” প্রতিবেশীরা জানান, ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মা অনিতা মাল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রত্যেক দিন নলহাটি শহরে খুঁজে বেড়াতেন। এ দিন ছেলেকে পেয়ে খুবই খুশি অনিতা। তিনি বলেন, “কেমন ভাবে ছেলে এত দূরে চলে গেল জানি না। গ্রামের অনেকেই বলেছিলেন আর ছেলেকে ফিরে পাব না। ছেলেকে কাছে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। যাঁরা ছেলেকে ফিরিয়ে দিলেন তাঁদের ধন্যবাদ।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

nalhati

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy