ফাইল চিত্র।
তিনি যে কোভিড আক্রান্ত নন, নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। প্রায় সুস্থ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দু’তিনের মধ্যেই কলকাতা থেকে জেলায় ফিরছেন। কলকাতায় অনুব্রত-র সঙ্গী তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ রবিবার ফোনে এ কথা জানান।
অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘কেষ্টদা প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখন তিনি কলকাতায় আছেন। সঙ্গে তাঁর মেয়েও আছে। কেষ্টদা যেহেতু প্রতিদিন কলকাতায় আসছেন না, তাই সুস্থ থাকলেও রুটিন কিছু টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার সেই সব পরীক্ষা হওয়ার দু-তিন দিন পরই ফিরবেন কেষ্টদা।’’ অনুব্রত মণ্ডল যে ভাল আছেন সে কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের আরেক জেলা সহ-সভারতি মলয় মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘শনিবারই আমার সঙ্গে জেলার সংগঠন বিষয়ক কথা হয়েছে কেষ্টদার সঙ্গে।’’
কয়েক দিন ধরে জ্বর ও কাশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার মতো উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় রওনা হয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানোর কথা ছিল। কিন্তু দল সূত্রের খবর, তাঁকে ভর্তি না করে আরটিপিসিআর, সিটিস্ক্যান-সহ একাধিক পরীক্ষা করিয়ে সেদিনই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল ওই হাসপাতাল।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রতর কোভিড উপসর্গ রয়েছে শোনার পরই আরটিপিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছিল। কলকাতা রওনা হওয়ার আগেই অ্যান্টিজেন টেস্ট নেগেটিভ হয়েছিল। তবে আরটিপিসিআরের ফল পাওয়া বাকি ছিল। কিন্তু কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। একদিন পরে আরটিপিসিআর টেস্ট রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। কলকাতার ওই হাসপাতালে করা আরটিপিসিআর টেস্টও নেগেটিভ হয়। ভোট পর্বে অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও বুকে সামান্য সংক্রমণের জন্যই এমনটা মনে হচ্ছিল। পরের দু’দিন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেদের দেওয়া ওষুধে উপসর্গ কমে যায়।
দলের নেতারা জানাচ্ছেন, স্ত্রী-র অসুস্থতাই হোক বা মায়ের মৃত্যু, ব্যক্তিজীবনে সঙ্কটের মুহূর্তেও দলকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় বছর খানেক আগে থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য মিছিল, মিটিং সভা সমিতির জন্য জেলা ও জেলার বাইরে প্রচুর ঘোরাঘুরি করেছেন। কোভিড উপসর্গ থাকার কথা শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল দলের নেতা কর্মীদের। তিনি কোভিড আক্রান্ত নন, সুস্থ আছেন এবং শীঘ্রই বোলপুরের বাড়িতে ফিরবেন শুনে স্বস্তিতে তাঁর অনুগামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy