Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Anubrata Mondal

বীরভূমের নানুরে তদন্তে সিবিআই আধিকারিকরা! অনুব্রতের লটারি টিকিটের ‘আসল’ মালিককে নোটিস

অনুব্রতের নামে থাকা লটারির টিকিটের আসল মালিক কে? তদন্তে নেমে নানুরের এক ব্যক্তিকে নোটিস ধরাল সিবিআই। সিবিআই মনে করছে, এই ব্যক্তিই আসলে এক কোটি টাকার লটারির টিকিট জিতেছিলেন।

অনুব্রত মণ্ডল।

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নানুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১০:৪৬
Share: Save:

বৃহস্পতিবার সকাল সকাল নানুরের বড়শিমুলিয়া গ্রামে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বড়শিমুলিয়া গ্রামে শেখ নুর আলি নামে এক ব্যক্তিকে নোটিস ধরিয়েছে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারি পাওয়ার ঘটনায় নুরকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে অনুব্রতের নামে এক কোটি টাকার লটারি পাওয়ার তদন্তে নামেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই মনে করছে, এই নুর-ই আসলে এক কোটি টাকার লটারির টিকিট জিতেছিলেন। কিন্তু পরে সেই টিকিট পৌঁছে যায় দাপুটে নেতা অনুব্রতের হাতে। আর সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই নুরকে নোটিস ধরাল সিবিআই। বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে তাঁকে বৃহস্পতিতেই বিশ্বভারতীর অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে দেখা করতে বলা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে শুক্রবার ষষ্ঠ লটারির হদিস পেয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের নামে এই লটারির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুলের নামে ২০১৭ সালে জেতা একটি ৫০ লক্ষ টাকার লটারির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত এনামুলের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর তখনই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিতে এই ৫০ লক্ষ টাকার লটারি জেতার তথ্য উঠে আসে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই মনে করছে, এনামুল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে আরও লটারির টিকিট থাকতে পারে।

সিবিআই আধিকারিকদের সন্দেহ, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যেই লটারিকে মাধ্যম করে নেওয়া হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, যাঁদের নাম গরু পাচার মামলায় জড়িয়েছে, তাঁদের নামেই এই লটারিগুলির খোঁজ মিলছে। যা একেবারেই কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে এর আগে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতের নামে দু’টি এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে তিনটি লটারির হদিস পাওয়া গিয়েছিল। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, চলতি বছরে লটারির পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। জানুয়ারিতে প্রথম বার অনুব্রতের লটারি জেতার পরই এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের নজরে এসেছিল বলে দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE