দাবি: বিক্ষোভে আশাকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। গ্রামে গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ নিচ্ছেন কারও জ্বর হয়েছে কিনা, কারও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। অথচ তাঁদেরই বেতন নামমাত্র। সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। মেলেনি স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতিও। তাঁরা আশাকর্মী।
এ সবের প্রতিবাদে আশাকর্মীদের আন্দোলনও চলছে। সর্বাঙ্গীন সুরক্ষা প্রদান এবং সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়া-সহ একাধিক দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন আশাকর্মীরা। করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই দিনরাত এক করে যাঁরা কাজ করে চলেছেন, তাঁদের অন্যতম এই আশাকর্মীরা। তাঁদের ক্ষোভ, এর পরেও বিভিন্ন জায়গায় তাঁদেরকে হেনস্থা হতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তাঁরা ঠিকমতো সুরক্ষা সরঞ্জাম পাচ্ছেন না। এ দিন বিক্ষোভে শামিল আশাকর্মী দূর্বা ঘোষ, সাজিদা ইয়াসমিনরা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছি। অথচ আমাদেরকে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ঠিক মতো সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। অফুরন্ত বাড়তি কাজ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি পুরো বেতনটুকুও দেওয়া হচ্ছে না আমরা চাই, এগুলো প্রশাসন বিবেচনা করে দেখুক।’’
মাসিক বেতন ২১ হাজার টাকা করা, পুরো পারিশ্রমিক দেওয়া, বিধিসম্মত প্রশিক্ষণ ছাড়া করোনা মোকাবিলার কাজ না চাপানো এবং স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে এ দিন বিক্ষোভ দেখান আশাকর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পরে আশাকর্মীদের তরফ থেকে চার দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয় বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির সদস্য মাধবী সিংহ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতির মধ্যে আমরা কী ভাবে কাজ করছি, তা প্রশাসনের দেখা উচিত। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আমাদের অনুরোধ, দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের নামতে বাধ্য হব।’’ বোলপুরের বিএমওএইচ সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘স্মারকলিপি জমা নেওয়া হয়েছে। ওঁদের দাবিদাওয়ার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy