কলাভবন চত্বরে শিল্পকর্ম ঘুরে দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। —নিজস্ব চিত্র
চলতি বছরের অগস্ট মাসে রামকিঙ্করের ভাস্কর্যগুলি সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে চায় বিশ্বভারতী। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, কলাভবনের কালো বাড়ি চত্বরে থাকা ‘বুদ্ধমূর্তি’ দিয়েই সে কাজে হাত দিতে চাইছেন বিশেষজ্ঞেরা। কলাভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির সাহানা জানান, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) বিশেষজ্ঞ সুরজিৎ মাইতি এ দিন প্রাথমিক ভাবে ভাস্কর্যগুলি ঘুরে দেখেছেন। সংরক্ষণ নিয়েও হয়েছে। অগস্ট মাস থেকে কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।
জীবিতকালে প্রবাদপ্রতিম হয়ে যাওয়া রামকিঙ্করের শিল্পকাজের যথাযথ সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষোভ রয়েছে। বিশ্বভারতীও এর আগে ২০১৩ সালের শেষ দিকে মূর্তিগুলি সংস্কারে উদ্যোগী হয়। সে বারও ঘুরে দেখে গিয়েছিলেন এএসআই-এর একটি বিশেষজ্ঞ দল। ওই পর্যন্তই। শুরুই হয়নি কাজ। শিল্পকর্মের প্রতি অবহেলার অনুযোগ নিয়ে তৈরি হয় ক্ষোভও। এ বারও ধীরে-সুস্থেই পদক্ষেপ করতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে রয়েছে শিল্পীদের নানা শিল্পকর্ম। খোলা আকাশের নীচে রোদে-জলে নষ্ট হতে বসেছে তার বেশ কিছু। খোলা মাঠেই রয়েছে নন্দলাল বসু, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকিঙ্কর বেইজ, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীদের আশ্চর্য সব শিল্পকর্ম। বছরের পর বছর এমন অবস্থায় থাকায় কোনও কোনও শিল্পকর্মে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সংস্কারের কথা তুলেছেন অনেকেই। ওই সমস্ত শিল্পকর্মে ‘কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ নিয়ে ইতিমধ্যেই বার কয়েক আলোচনাও হয়েছে। কলাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিলীপ মিত্র বলেন, “আমরা শিল্পকর্ম সংরক্ষণে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত রামকিঙ্করের ছয়টি ভাষ্কর্য নিয়ে কথা হয়েছে। বুদ্ধমূর্তি দিয়ে শুরু করার চিন্তাভাবনা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy