অরিজিৎ। নিজস্ব চিত্র
বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতে গিয়ে নিখোঁজ বাঁকুড়ার এক ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বছর উনত্রিশের ওই যুবকের নাম অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলে তাঁর বাড়ি। ঠিক এক মাস আগে তাঁর ফোন বাড়িতে এসেছিল। তারপর থেকে অরিজিতের সঙ্গে পরিবারের আর যোগাযোগ নেই। বেঙ্গালুরুর ভাড়াবাড়িতে এবং তাঁর অফিসে গিয়েও কোনও হদিস না পেয়ে শেষে হোয়াইটফিল্ড থানায় ছেলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অরিজিৎ কাজ করছেন। ২০১৫ সালে শেষ বার তিনি বাঁকুড়ার বাড়িতে এসেছিলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে ফোনে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। অরিজিৎবাবুর বাবা মথুরানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি ছেলের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়। সে দিন বিকেলে অরিজিতের মোবাইল থেকে প্রথমে অচেনা কয়েক জন ব্যক্তি কথা বলেছিলেন। মথুরানাথবাবু বলেন, “ছেলের নম্বর থেকে ফোন করে প্রথমে কয়েক জন অচেনা ব্যক্তি জানান, অরিজিৎ কর্ণাটকের হুবাল্লিতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ওর মোবাইল ঘেঁটে বাড়িতে ফোন করেছিলেন। তখনই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে জানিয়েছিল, অফিসের কাজে হুবলিতে গিয়েছে। রাতে বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছিল।”
মথুরানাথবাবু জানান, এর পর থেকে ছেলেকে আর কখনওই ফোনে পাননি তিনি। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া সদর থানায় ঘটনাটি জানান তিনি। তারপরে এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে যান। বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড থানার কুণ্ডলাহাল্লি এলাকায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন অরিজিৎ। সেখানে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন, গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই অরিজিৎ সেখানে আসেননি। যদিও ঘরের ভিতরে তাঁর জিনিসপত্র সবই রয়েছে। এরপরে মথুরানাথবাবু ছেলের অফিসে যান। তিনি বলেন, ‘‘সেখানে খবর পাই ছেলে গত ২৭ জানুয়ারি শেষ বার অফিসে গিয়েছিল। ওর সহকর্মীরা জানাল, সে দিন জরুরি কাজে বাঁকুড়ায় যাবে বলে অরিজিৎ ছুটি নিয়েছিল। তাহলে ছেলেটা গেল কোথায়?’’ ফেরার আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইটফিল্ড থানায় ছেলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন মথুরানাথবাবু।
বাড়ি ফিরে আসার পরে বেশ কয়েকবার হোয়াইট ফিল্ড থানায় ফোন করে ছেলের বিষয়ে খবর নিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কোনও হদিস দিতে পারেনি। তিনি বলেন, “গোটা ঘটনাটা কেমন রহস্যজনক লাগছে। আমার ছেলে কোথায় গেল, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy