স্কুলের পাঁচিল তৈরিকে ঘিরে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ নিয়ে পাত্রসায়র ব্লকের বিডিও-র কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন গ্রামবাসী। তার প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে অভিযোগের প্রাথমিক সারবত্তা পেয়ে থানায় হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ আসগর আলির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করলেন বিডিও। পাত্রসায়রের বিডিও অজয়কুমার সাহা বলেন, ‘‘ওই অঞ্চলের চাঁপাবনি গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলে পাঁচিল তৈরি হচ্ছিল। সেই কাজ করছিল পঞ্চায়েত। কিন্তু কাজের মান নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন গ্রামবাসী। প্রাথমিক তদন্তে আমাদেরও মনে হয়েছে, নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। সেই কারণে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পাত্রসায়র থানায় অভিযোগপত্র জমা করা হয়েছে। যদিও শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ কোনও ধরপাকড় করেনি।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ওই স্কুলের চারপাশে পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছিল। সেই কাজের বরাত পেয়েছিলেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত প্রধানের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কিন্তু নিম্নমানের ইমারতি দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে প্রথম থেকেই বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁদের দাবি, ঠিকাদারকে বিষয়টি জানানো হয়। দাবি করা হয়েছিল, ভাল মালপত্র দিয়ে পাঁচিল তৈরি করতে হবে। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, ঠিকাদার তা গুরুত্ব দেননি। তখন তাঁরা বিডিও-কে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান। এরপরেই তদন্তে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আসগর আলি দাবি করেছেন, ‘‘ওই কাজে বেনিয়ম মোটেই হয়নি। কাজ নিয়ম মেনেই চলছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়েছে বলে শুনিনি। বিডিও বা থানা থেকেও কিছু জানানো হয়নি।’’ পাত্রসায়র থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই অভিযোগের পরেই সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতির কটাক্ষ, ‘‘শুধু হামিরপুর কেন তৃণমূল পরিচালিত প্রতিটি পঞ্চায়েতেই দুর্নীতি চলছে। কোথাও আড়াল থাকছে, কোথাও নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রকাশ্যে চলে আসছে। মানুষ এ সব দেখে বুঝুক, কারা ক্ষমতায় এসেছে।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্তে দোষি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশ নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy