Advertisement
E-Paper

হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে ডিএম

প্রশাসন সূত্রে খবর, বৈঠকে মূলত হাসপাতালের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা  

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০১:২১
বাঁকুড়া মেডিক্যালের ইন্ডোরের প্রধান দরজার সামনে রোগীর আত্মীয়দের ‘ভিজিটর্স কার্ড’ পরীক্ষায় কড়াকড়িও চলছে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

বাঁকুড়া মেডিক্যালের ইন্ডোরের প্রধান দরজার সামনে রোগীর আত্মীয়দের ‘ভিজিটর্স কার্ড’ পরীক্ষায় কড়াকড়িও চলছে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে তৎপর হল প্রশাসন। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন।

এ দিন বিকেলে হাসপাতালের বহির্বিভাগের দোতলায় এই বৈঠক হয়। ছিলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত, জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়, ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) সুমোহন রায়চৌধুরী, হাসপাতালের সুপার শিবাশিস রায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগ, পূর্ত দফতর, পুরসভা, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটরাও।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বৈঠকে মূলত হাসপাতালের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়। চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি হাসপাতালে অন্য যে সমস্ত পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে সেই বিষয়গুলিও আলোচনায় ওঠে। হাসপাতালের বহির্বিভাগের উল্টোদিকে নিকাশি নালায় যে নোংরা জল জমে রয়েছে, তাও নজরে আসে জেলাশাসকের। বৈঠকে হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থার বিষয়টিও ওঠে।

বৈঠকের পরে হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, যেখান দিয়ে হাসপাতালের মূল বিল্ডিংয়ে লোকজন প্রবেশ করেন সেই এলাকা ঘুরে দেখেন জেলাশাসক, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ পদস্থ কর্তারা। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা যেখানে বসেন সেই জায়গাও পরিদর্শন করেন তাঁরা।

হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখতে গিয়ে একাধিক জায়গায় নিকাশি নালায় নোংরা জল জমে রয়েছে দেখে জেলাশাসক অসন্তোষ প্রকাশ করেন। হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘‘নিয়মিত নালা সাফ করা হয়। কিন্তু নিকাশি নালায় আবর্জনা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে জল জমে থাকছে।’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘সাফাইয়ের কাজে নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে।’’

পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে বৈঠকে তা আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া এই হাসপাতালের উপরেই যেহেতু জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই নির্ভরশীল, তাই মানুষজন কী ধরনের পরিষেবা পান, সেই বিষয়টিও আলোচনায় উঠেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করার জন্য কী ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে, তা নিয়ে সমীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া বৈঠকে ঠিক হয়েছে প্রতি ১৫ দিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যে একটি সমন্বয় বৈঠক হবে।’’

হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর শারীরিক অবস্থা জানতে অনেক সময়ই রোগীর পরিজনদের হিমসিম খেতে হয়। এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘‘হাসপাতালে একটি রোগী সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। সেই কেন্দ্রটিকে কী ভাবে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো যেতে পারে, তা দেখা হবে।’’

Purulia Deben Mahato Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy