হারের পর্যালোচনাতেও বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ছায়া!
লোকসভা ভোটে রামপুরহাট পুর-এলাকায় ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি ওয়ার্ডে দল বিরোধীদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। পুরভোটে ৪ টি ওয়ার্ডে জয়ী হলেও, ৬ টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। কিন্তু বাকি ৮ টি ওয়ার্ডে প্রাপ্ত ভোট আশানুরুপ নয়। অঙ্ক বলছে, রামপুরহাট পুরভোটে লোকসভার ফলাফলের নিরিখে বিজেপি ফল খারাপ। কেন এই হার, খারাপ ফলের ব্যাখ্যাই বা কি? রবিবার সে সবের উত্তর খুঁজতেই রামপুরহাট শহর মণ্ডল কমিটির অফিসে বৈঠকে বসল বিজেপি। কিন্তু সে বৈঠকে এলেন না দলের চার জয়ী প্রার্থীর একজন। এতে জেলায় বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের গল্প ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।
ঘটনা হল, বোর্ড গঠনের পর পুরসভায় দলের কি ভূমিকা থাকবে, কার নেতৃত্বে আগামী দিনে লড়াই চালাবেন তাঁরা, বিধানসভা ভোটে দলের অবস্থা আরও ভাল করতে গেলে কিভাবে দলের সংগঠন বাড়াতে হবে এ সমস্ত কিছু নিয়ে রবিবার ছিল বিজেপি শহর মণ্ডল কমিটির অফিসে বৈঠক। ফল খারাপের কারণ হিসাবে দলীয় কর্মীরা বলছেন, শাসক দলের হুমকি এবং বিরাট অঙ্কের টাকা খরচের কাছে দলীয় কর্মীদের পরাজয় হয়েছে। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলের জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল-সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীদের একাংশের জন্যও দলের ফল খারাপ হয়েছে, এমনও বলছেন কেউ কেউ।
দল সূত্রের খবর, আগামী দিনে পুরসভায় চারজন দলীয় কাউন্সিলরকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিন বৈঠকে রামপুরহাট পুরসভার ১৮ টি দলের প্রার্থীদের ডাকা হলেও গোষ্ঠী কোন্দলে চার জয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রথম নির্বাচিত কাউন্সিলর ভগীরথ দাস উপস্থিত ছিলেন না। আসেননি, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হেরে যাওয়া গত দু’বারের জয়ী কাউন্সিলর মাধব সর্দারও।
কেন এলেন না ভগীরথবাবু ও মাধব সর্দার? শহরের মণ্ডল কমিটির আহ্বায়ক তারক নাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘যারা উপস্থিত থাকলেন না তাঁদের নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। লোকসভার ফলের নিরিখে দলের ফল খারাপ হয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরীর অবশ্য দাবি, ‘‘ভগীরথ দাস আমাকে জানিয়েছেন, রবিবারের বৈঠকের কথা তাঁকে জানান হয়নি। উনি বাইরে আছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy