Advertisement
০৭ মে ২০২৪

রাঢ়বঙ্গে শান্তিতেই মিটল ‘সঙ্কল্প যাত্রা’

এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ পুরুলিয়া-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের পুরুলিয়া-১ ব্লকের বেলকুঁড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীদের মিছিল আটকায় পুলিশ। মিছিলটি লাগদা এলাকা থেকে চাষ মোড় অর্থাৎ জয়পুরের দিকে যাচ্ছিল। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মিছিলে ছিলেন। বেলকুঁড়িতে পুলিশ মিছিলটি আটকে দিলে তাদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা শুরু হয়। এর ফলে প্রায় আধ ঘণ্টা ওই রাস্তায় যান চলাচল ব্যহত হয়। 

উত্তেজনা: (বাঁ দিক থেকে) পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় মোটরবাইক মিছিলের সময়ে বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

উত্তেজনা: (বাঁ দিক থেকে) পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় মোটরবাইক মিছিলের সময়ে বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০০:১৯
Share: Save:

কয়েকটি জায়গায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ছাড়া দুই জেলায় বিজেপির ডাকা ‘সঙ্কল্প যাত্রা’ মিটেছে শান্তিতেই। এদিন দুই জেলার অনেক জায়গা থেকেই বিজেপি কর্মীরা মোটরবাইকে চেপে মিছিল করেন। কয়েকটি জায়গায় পুলিশ মিছিল থামিয়ে দেয়। পুলিশের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় প্রশাসনের তরফে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, অনুমতি চাইলেও প্রশাসন তা দিতে অস্বীকার করে। তাই অনেক জায়গাতেই অনুমতি ছাড়াই মিছিল করতে বাধ্য হয় তারা।

এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ পুরুলিয়া-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের পুরুলিয়া-১ ব্লকের বেলকুঁড়ি মোড়ে বিজেপি কর্মীদের মিছিল আটকায় পুলিশ। মিছিলটি লাগদা এলাকা থেকে চাষ মোড় অর্থাৎ জয়পুরের দিকে যাচ্ছিল। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মিছিলে ছিলেন। বেলকুঁড়িতে পুলিশ মিছিলটি আটকে দিলে তাদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা শুরু হয়। এর ফলে প্রায় আধ ঘণ্টা ওই রাস্তায় যান চলাচল ব্যহত হয়।

পরে মিছিলকারীরা ফিরে যান। পুরুলিয়া-মানবাজার রাস্তার ডুড়কু মোড়ে বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ। বিজেপি নেতা নগেন্দ্র ওঝা বলেন, ‘‘পুলিশ বাধায় মিছিল থমকে গিয়েছিল। পরে তবে আমরা মিছিল করেছি।’’ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পুরুলিয়া সদর থানা এলাকার উড়ালপুলের কাছে বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ। মিছিলে হাজির ছিলেন দলের যুব নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও জেলা যুব সভাপতি রাজেশ চিন্না। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অনুমতি না থাকায় মিছিল আটকানো হয়েছিল। বিজেপির দাবি, পুলিশি বাধার মুখে মিছিলের যাত্রাপথ বদল করতে হয়। পরে মিছিল করেই শহরে ঢোকেন দলেরকর্মীরা।

সকালে জয়পুরের রোপো থেকে শুরু হওয়া বিজেপির মিছিল জয়পুরে ঢোকার মুখে আটকে দেয় পুলিশ। মিছিলে ছিলেন রাজু এবং জয়পুর মণ্ডলের নেতা রবীন সিংহদেও বলেন, ‘‘জয়পুর ঢোকার মুখে জয়পুর-পুন্দাগ রাস্তায় কালী মন্দিরের কাছে আমাদের পথ আটকানো হয়। বলা হয় মিছিলের অনুমতি নেই। আমরা পুলিশকে বলেছিলাম, অনুমতি চাইলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে কি আমাদের কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। পুলিশ আটকালেও আমরা মিছিল করেছি।’’

এদিকে, বাঁকুড়া লোকসভার অন্তর্গত বেশিরভাগ বিধানসভা এলাকা বিজেপি মিছিল করলেও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় পথে নামেননি দলের কর্মীরা। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলেরই অন্দরে। জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ, রাইপুর, তালড্যাংরা বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চলে মিছিল করে বিজেপি। সিমলাপালে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য নেতা সুভাষ সরকার। রাইপুরে ছিলেন দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র। বাঁকুড়া শহরের মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের রাঢ়বাংলা জোনের পর্যবেক্ষক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। বিজেপির বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সভাপতি স্বপন ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূলের হার্মাদ ও পুলিশ আমাদের কর্মীদের ভয় দেখিয়েছে। তাই মিছিল করতে পারিনি।” যদিও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণেই মিছিল করা যায়নি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মোটরবাইক মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই যেখানে মিছিল দেখা গিয়েছে, সেখানেই আটকেছে পুলিশ। তবে কোথাও কোনও

অশান্তি হয়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sankalp Yatra BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE