দুবরাজপুরে নেপাল মজুমদার ভবনে শতাব্দী রায়। সোমবার বিকেলে। নিজস্ব চিত্র senguptadayal@gmail.com
পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ। এ বার লোকসভার জন্য লড়াইয়ে নেমে পড়লেন বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার দুবরাজপুরের ব্লক কার্যালয় সংলগ্ন নেপাল মজুমদার কমিউনিটি হলে ব্লকের অন্তর্গত পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের সমস্ত বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠানে তারই সলতে পাকানো শুরু হল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এখানে পঞ্চায়েতের ফলকে সামনে রেখে কর্মীদের উজ্জিবীত করেন তিনি। যদিও শতাব্দী জানিয়েছেন, পাঁচ বছর ধরেই এই কাজ চলেছে।
তৃণমূলের দাবি, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোটের উপর বেশ ভাল ফল করেছে তারা। বেশ কয়েকটি জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও ফল ভাল হয়েছে। সূত্রের খবর, তাই সময় নষ্ট না করে আসন্ন লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন শতাব্দী। যদিও শতাব্দী টিকিট পাবেন কি না তা এখনই নিশ্চিত নয়। তবে যেই টিকিট পান বোলপুর কেন্দ্রে লোকসভার লড়াই খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছে তৃণমূল৷ তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতার কথায়, “লোকসভায় কড়াকড়ি থাকবে অনেক বেশি। ফলে, পঞ্চায়েতের ফলাফল ধরে লোকসভার ফলের আন্দাজ করা ঠিক হবে না। ওখানে লড়াই অনেক কঠিন।” তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের ফলের পরে কর্মীদের মধ্যে যে উজ্জীবিত ভাব তাকে কাজে লাগাতে চাইছেন শতাব্দী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রচারক হিসেবে শতাব্দী এক মাস ধরে জেলার নানা প্রান্তে প্রচার করেছেন। ফলে, তৃণমূল স্তরের নেতাদের সঙ্গে সংযোগের কাজটা হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত এলাকার জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে এমন আলাপচারিতা, সংবর্ধনার মধ্যে দিয়ে সম্পর্ক আরও মজবুত করার দিকে নজর দিচ্ছেন তিনি। যাতে যতটা সম্ভব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়ানো যায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০২১ সালের বিধানসভার ফলাফল অনুযায়ী সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট— তিনটি পুরসভাতেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সে ক্ষেত্রে গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ককে মজবুত রাখা শতাব্দীর কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে এ দিনের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে শতাব্দীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সেই কাজ তো পাঁচ বছর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy