রাইপুর ব্লক তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি অনিল মাহাতো খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সনৎ সিংহকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার পরে মারধর করা হল বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার খাতড়ার পাম্পমোড়ে সনৎবাবু ও তাঁর এক সঙ্গীকে মারধর করা হয়। এ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা শ্যামল ওরফে বেণু সরকার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে খাতড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সনৎবাবু। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। মারধরে আহত দু’জন বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুনের ঘটনায় পুলিশের চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত সনৎবাবু এখন জামিন পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এ দিন খাতড়া আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন তিনি। হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে খাতড়ার পাম্পমোড়ে একটি চায়ের দোকানে সঙ্গীদের নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর দাবি, ‘‘শ্যামলবাবু ও তাঁর দুই ছেলে দলবল নিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও উইকেট ছিল। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে সঙ্গী মানিক পাহাড়িও মার খায়। ওরা আমাকে একটি গাড়িতে তুলে খাতড়ার করালি মোড়ে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করে। পুলিশ চলে আসায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, তিনি এলাকায় শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর জয়ন্ত মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলেই হামলা হয়েছে।
খাতড়া মহকুমার ওই দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। সনৎবাবুর দাদা রাজকুমার সিংহ রাইপুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তার পরেও শ্যামলবাবু হামলা চালালেন। এ বার দলই এর বিচার করুক।”
মারধরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন শ্যামলবাবু। তিনি দাবি করেছেন, “গলায় সংক্রমণের জন্য পনেরো দিন ধরে আমি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছি না। সনৎ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা গল্প ছড়াচ্ছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। কী হয়েছে তা বিস্তারিত খোঁজ নেব।” এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ অরূপবাবু। তাঁর দাবি, “এটি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা।’’ পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy