—নিজস্ব চিত্র।
পুরুলিয়া জেলার জঙ্গলমহলের হাতি উপদ্রুত এলাকার পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে যানবাহনের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন ও বন দফতর। কিন্তু চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ানো কোটশিলার সিমনি গ্রামে সে ব্যবস্থা করা হয়নি বলে ক্ষোভ ছড়াল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিমনি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে দু’টি চিতাবাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। সোমবার রাতে সিমনির একটি গোয়াল থেকে চিতাবাঘ গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বন দফতর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে চিতাবাঘের পায়ের ছাপও খুঁজে পেয়েছে। ট্র্যাপ ক্যামেরায় দু’টি চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছে। তারপরেই বন দফতর নানাভাবে সতর্ক করা শুরু করেছে।
তাহলে কেন সিমনির পরীক্ষার্থীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হল না? প্রশ্ন গ্রামবাসীর।এ দিন সিমনি থেকে কমবেশি ২০ কিলোমিটার দূরে ঝালদা সত্যভামা বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা দিতে আসা সাগর কর্মকার বলে, ‘‘বাইকে বেশ খানিকটা পথ জঙ্গলের পাশ দিয়ে আসতে হয়েছে। কুয়াশা থাকায় ভাল করে রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। যদি চিতাবাঘ হামলা চালায়, এই ভয়ে ছিলাম।’’ তাঁর বাবা অখিল কর্মকার বলেন, ‘‘হাতি বিচরণ করে এমন এলাকায় প্রশাসন গাড়ির ব্যবস্থা করলেও চিতাবাঘের আতঙ্ক থাকা সিমনি গ্রামে কোনও যানবাহনের ব্যবস্থা করা হল না?’’ তাঁর দাবি, তাঁর ছেলের মতো সিমনি এলাকায় একাধিক পরীক্ষার্থী রয়েছে।
বিডিও (ঝালদা ২) অভিষেক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বন দফতরের দেওয়া তালিকায় সিমনির উল্লেখ নেই। তাই ওই এলাকার জন্য কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি।’’ যদিও বন দফতরের দাবি, জঙ্গলপথ ধরে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সিমনি এলাকার পরীক্ষার্থীদের পথে জঙ্গল পড়ে না, তাই তালিকায় তার নাম রাখা হয়নি। তবে হরতান, মামুডির মতো এলাকায় গাড়ির বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, বান্দোয়ানের ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া আসনপানি এলাকার খানিকটা দূরে ঝাড়খণ্ডের বাসাবুরুর জঙ্গলে ও জামডির জঙ্গলে ৪৫টি হাতি অবস্থান করছে। সে কারণে বান্দোয়ানের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির পরীক্ষার্থীদের জন্য ১২টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy