Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
bird flu

‘বার্ড ফ্লু’ নিয়ে সতর্ক দু’জেলা

অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে, তা জানা যেত বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের উপ-অধিকর্তা উত্তমকুমার বিশ্বাসও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৪৯
Share: Save:

রাজস্থান, কেরল, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশে ‘বার্ড ফ্লু’-তে পাখি মৃত্যুর ঘটনার পরে, সতর্ক পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা। দু’জেলায় এখনও পাখি-মৃত্যুর কোনও নজির না থাকলেও পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর।

লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে পুরুলিয়া জেলার ৩৮০ কিলোমিটারের সীমানা রয়েছে। জেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর কর্মাধ্যক্ষ মেঘদূত মাহাতো বলেন, ‘‘যে রাজ্যগুলিতে ‘বার্ড ফ্লু’ ছড়ানোর খবর মিলেছে, তার মধ্যে ঝাড়খণ্ড নেই। আর যত দূর জানি, জেলা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের যে অঞ্চলগুলি রয়েছে, সেখানে মুরগি খামারগুলিতে এখান থেকেই মুরগির বাচ্চা যায়।’’

এ দিকে, ‘প্রাণিবন্ধু’, ‘প্রাণিমিত্রা’ বা ‘প্রাণিসেবী’ কর্মীরা একেবারে নিচুতলায় কাজ করেন। অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে, তা জানা যেত বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের উপ-অধিকর্তা উত্তমকুমার বিশ্বাসও। তাঁর কথায়, ‘‘ব্লক স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে ওই কর্মীদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে। তা ছাড়া, একেবারে নিচুতলা পর্যন্ত আমাদের ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’ সক্রিয় রয়েছে। মুরগি খামারগুলির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।’’

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন’-এর পুরুলিয়া জেলা সভাপতি রিন্টু দাস জানান, কয়েকটি রাজ্যে ‘বার্ড ফ্লু’ ছড়ানোর পরে সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষত জৈব-নিরাপত্তার বিষয়গুলি, যেমন খামারের আশপাশে জীবাণুনাশক ছড়ানো, বাইরের লোকজনকে খামারে ঢুকতে না দেওয়া, গাড়ি নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখা— এ সব নিয়মগুলি মেনে চলতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘যে রাজ্যগুলিতে ‘ফ্লু’ ছড়ানোর খবর মিলেছে, আমাদের রাজ্য বা জেলায় সেখান থেকে মুরগির বাচ্চা আসে না।’’ রঘুনাথপুরের এক মুরগি খামার ব্যবসায়ী অনুব্রত দেওঘরিয়াও বলেন, ‘‘জৈব নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে চলছি। খামারে মুরগির বাচ্চা আসে মেদিনীপুর থেকে। সেখানেও তেমন কোনও খবর নেই।’’

সতর্কতার আবহ বাঁকুড়ার খামারগুলিতেও। পোলট্রি ফেডারেশনের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জগন্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জেলার সব খামারের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, খামারের আশপাশে যাতে কোনও পরিযায়ী পাখি না আসে, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে। পরিচ্ছন্নতায় অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ আধিকারিক সোমনাথ মাইতিও বলেন, “প্রতিটি খামারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণও চলছে। কোথাও কোনও খবর মিললে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bird flu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE