Advertisement
E-Paper

Tapan Kundu Murder: ঝালদার ধাবার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সত্যবান পেশায় শিক্ষাকর্মী। কংগ্রেসের হাত ধরে তাঁর রাজনৈতিক মহলে পরিচিতি তৈরি হয়।

প্রশান্ত পাল ও দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০৩
সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে আধিকারিকদের আনাগোনা।

সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে আধিকারিকদের আনাগোনা। নিজস্ব চিত্র।

কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তে মঙ্গলবার স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে তলব করল সিবিআই। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা সত্যবান পরামানিক নামে ওই ব্যক্তিকে তাঁর হেঁসাহাতু গ্রামের বাড়ি থেকে ঝালদা বন দফতরের অতিথি আবাসে তাঁদের অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে আসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সত্যবান পেশায় শিক্ষাকর্মী। কংগ্রেসের হাত ধরে তাঁর রাজনৈতিক মহলে পরিচিতি তৈরি হয়। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর স্ত্রী বিমলা পরামানিক কংগ্রেসের টিকিটে জিতে ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা হন। প্রায় বছর দু’য়েক পরে, ওই সমিতির একাধিক কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। সে দলে বিমলাও ছিলেন। সে সময় থেকে তাঁরা তৃণমূল শিবিরে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।

ঝালদা হাটতলা এলাকায় সত্যবানের একটি ধাবা রয়েছে। ওই ধাবার পাশে আর একটি খাবারের দোকান রয়েছে, যেটির মালিক নরেন কান্দু। তবে নরেন দোকানটি ভাড়া দিয়েছেন। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, দু’জনের সম্পর্কও ভাল। পরস্পরের ‘ছায়াসঙ্গী’ হিসাবেও এলাকায় পরিচিতি রয়েছে তাঁদের।

তপন খুন হওয়ার পরে, তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা জেলার পুলিশ সুপারের কাছে যে অভিযোগ করেন, তাতে নরেন-সহ কয়েক জনের নাম থাকলেও, সত্যবানের নাম ছিল না। তবে পরে, ঘটনার সঙ্গে সত্যবানের যোগ থাকতে পারে, এমন মৌখিক অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সত্যবানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলও (সিট)। সিবিআই-এর একটি সূত্রের খবর, ঝালদা এলাকার কোনও একটি ধাবায় ঘটনার ছক তৈরি হয়েছিল, এমন একটি তথ্য তদন্তকারীদের কাছে এসেছে। ‘সিট’-এর হাতে ধৃত নরেন কান্দুকে ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে। তাঁর সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতার’ কারণেই সত্যবানকে ডাকা হয়েছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।

এ দিন সত্যবানকে অস্থায়ী শিবিরে আনার কিছু ক্ষণ পরেই ডাকা হয় এসডিপিও (ঝালদা) সুব্রত দেবকে। ঘণ্টা দেড়েক পরে, এসডিপিও বেরিয়ে গেলেও, রাত পর্যন্ত সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরেই রয়েছেন সত্যবান। তৃণমূলের ঝালদা ১ ব্লক সভাপতি অলোক চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা তো বলেছি, এই ঘটনার পিছনে প্রকৃত সত্য যা রয়েছে, তা স্পষ্ট হোক। তদন্তের প্রয়োজনে সিবিআই কাউকে তলব করেছে, এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’’

বিকেলে সিবিআইয়ের দল ফের ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রোডে ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে, ধৃত মহম্মদ আশিক খানকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা কুটিডি গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। আশিক ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। এ দিন আশিকের বাড়িতে গিয়ে তালা ভেঙে ঢুকে আধিকারিকেরা কিছু নথিপত্র নিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।

Jhalda Tapan Kandu Murder CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy