হাসপাতাল ঘিরে জাগছে আশা। —নিজস্ব চিত্র।
নির্মাণের পর কেটে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল পুরুলিয়ার ঝালদায় বিড়ি শ্রমিকদের জন্য তৈরি হওয়া হাসপাতালটি। যে হাসপাতালের বেহাল পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই হাসপাতালের ‘স্বাস্থ্য’ ফেরাতে চলতি আর্থিক বছরে অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই হাসপাতালটির হাল ফেরাতে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। সম্প্রতি তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হাসপাতাল চালু করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও।
৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে হাসপাতালটির। কিন্তু তার পর গত ১৪ বছর ধরে থমকে রয়েছে কাজ। তবে সম্প্রতি আলোর রেখা দেখা গিয়েছে ওই হাসপাতালের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বাসুদেব বলেন, ‘‘এটা আমাদের লড়াইয়ের সাফল্যের প্রথম ধাপ। দিন তিনেক আগেই আমি শ্রমমন্ত্রীকে আর একটি চিঠি দিয়েছি এই মর্মে যে, শুধু অর্থ বরাদ্দ করা হলেই হবে না। অবিলম্বে ডাক্তার এবং নার্স নিয়োগ করে হাসপাতালটি চালু করতে হবে।’’
ঝালদার বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ভীম কুমার বলেন, ‘‘পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং মেদিনীপুর— এই তিন জেলার মানুষের জন্য দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এই হাসপাতাল। বহু জট কাটিয়ে বাম আমলে এই হাসপাতালটির কাজ চালু হয়। কিন্তু বাম সরকারের পতনের পর থমকে যায় কাজ। এই হাসপাতাল নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করেনি বর্তমান রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু হাল ছাড়েননি বাসুদেব আচারিয়া।’’
পুরুলিয়ার তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার অবশ্য দবি করেছেন, ‘‘এই বিষয়টি আমরাও রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে জানিয়েছিলাম । উনি বিষয়টি উত্থাপন করেন। আমরাও চাই পুরুলিয়ায় বিড়ি শ্রমিকদের জন্য তৈরি এই হাসপাতালটি দ্রুত চালু হোক। শ্রমিকরা চিকিৎসা পান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy