Advertisement
E-Paper

ঘড়ি হাতে পরীক্ষায় না, ক্ষোভ স্কুলে

কুসুমবনি যমুনাদাস খেমকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ কুণ্ডু জানান, পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে পনেরোটি ঘরে। সব ক’টি ঘরের দেওয়ালেই ঘড়ি টাঙানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০০:৪২
ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে। —নিজস্ব চিত্র

ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে। —নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘড়ি থাকতে পারবে না পারবে না, এই বিতর্কে হইচই হল বিষ্ণুপুরের কুসুমবনি যমুনাদাস খেমকা হাইস্কুলে। মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের পরেই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দফতর। উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই পৌঁছাতে হচ্ছে কেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার ছিল দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা। ইংরেজি। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, প্রথম দিনে পরীক্ষার্থীরা হাতে ঘড়ি পরে ঢুকতে পেরেছিল। এ দিন ঢোকার সময়ে বাধা দেওয়া হয়। তা নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কিছু লোকজন। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

কুসুমবনি যমুনাদাস খেমকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ কুণ্ডু জানান, পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে পনেরোটি ঘরে। সব ক’টি ঘরের দেওয়ালেই ঘড়ি টাঙানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে অভিভাবকদের মধ্যে শিবসুন্দর মুখোপাধ্যায়, মানসকুমার প্রতিহার, রামপ্রসাদ কাইতি, নীলিমা দে, উৎপলকুমার পালের মতো বেশ কয়েক জনের দাবি, ডিজিটাল ঘড়ি ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও কাঁটা দেওয়া ঘড়ি পরীক্ষার্থীরা পরে যেতেই পারেন। অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের তেমন ঘড়ি পরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।

প্রসেনজিৎবাবু এই প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রের স্বচ্ছতা রক্ষার দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ে। নিয়মের বাইরে আমি কিছুই করিনি। বরং মারমুখী অভিভাবকেরা যা করলেন তাতে আমি হতবাক। পুলিশ না থাকলে বড় কিছু ঘটে যেত।’’

তাঁর দাবি, অ্যানালগের মতো দেখতে ‘স্মার্ট ওয়াচ’ বাছাই করা মুশকিলের। সেই দায়িত্ব পুলিশও নিতে চায়নি বলে দেওয়ালে ঘড়ি টাঙানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসেনজিৎবাবু। বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক পঙ্কজ সরকার বলেন, “কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে বিকল্প ব্যবস্থা করে ঘড়ি নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ করা যেতেই পারে।’’

বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে ক্যালকুলেটর নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার প্রশ্নে আবার না নতুন করে কোনও জটিলতা হয়, সেই আশঙ্কার কথা বলছেন কিছু অভিভাবক। জেলা স্কুল পরিদর্শকের আশ্বাস, অ্যাডমিট কার্ডে যে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে বলে লেখা আছে, তা নিয়ে ঢোকা যাবে। এই নিয়ে কোনও ভাবে যাতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা না হয়, সেই ব্যাপারে প্রশাসন নজর দিক— চাইছেন ওই অভিভাবকেরা।

Bishnupur Higher Secondary Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy