মনিজা খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের এক সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগকারী মনিজা খাতুনের বাড়ি পাড়ুই থানার বাতিকার পঞ্চায়েতের মাখড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগপত্র মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছেন মনিজা।
বছর উনত্রিশের মনিজা জানান, বৃদ্ধ বাবা-মা ও দুই ভাইকে নিয়ে তাঁর সংসার। ভাইদের বিবাহের পর মনিজা বাবা-মাকে নিয়ে আলাদাই থাকেন। ২০১৩ সালে তিনি পাড়ুই থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে যোগ দেন। তাতেই কোনও রকমে সংসার চলে যেত মনিজার। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭ সালে একটি গ্রাম্য বিবাদে তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজও তাঁকে খোয়াতে হয়। কাজ ফিরে পেতে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করে চলেছেন। কিন্তু, সুরাহা মেলেনি বলেই মনিজার দাবি।
শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মনিজা। তাঁর কথায়, “গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমাকে বিনা কারণে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে চরম অসুবিধার মধ্যে দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। এই নিয়ে পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় জানিও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই আমি চাই, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন।” মনিজার অভিযোগের বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “এই ধরনের কোনও অভিযোগ আমি পাইনি। তবে পুলিশে কর্মরত কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সাময়িক ভাবে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়।’’ মনিজার ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন পুলিশ সুপার। যদিও মনিজার দাবি, তাঁর নামে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও অভিযোগ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy