Advertisement
E-Paper

পুলিশের বিরুদ্ধে এসপি-কে নালিশ

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বধূ খুনের অভিযোগ দায়ের করতে বর্ধমানের রায়না থানায় গিয়েছিল মৃতার পরিবার। কিন্তু এফআইআর না নিয়েই পুলিশ তাদের থানা থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালের দ্বারস্থ হয়েছেন বধূর দাদা বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ বাগদি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৬:৩২

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বধূ খুনের অভিযোগ দায়ের করতে বর্ধমানের রায়না থানায় গিয়েছিল মৃতার পরিবার। কিন্তু এফআইআর না নিয়েই পুলিশ তাদের থানা থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালের দ্বারস্থ হয়েছেন বধূর দাদা বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ বাগদি। মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এবং রায়না থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ— দু’টিই খতিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে পেশায় দিন মজুর সন্তোষবাবুর বোন দেবীর বিয়ে হয়েছিল রায়না থানার সেহারাবাজার গ্রামের মহেশ্বর সাঁইয়ের সঙ্গে। মহেশ্বরবাবু পেশায় চাষি। ওই দম্পতির দু’বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। গত ২৭ মে শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেবীর দেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে সন্তোষবাবু দাবি করেছেন, বিয়ের পর থেকেই বাড়তি পণের দাবিতে দেবীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তাঁর স্বামী মহেশ্বর সাঁই, ভাসুর শঙ্কর সাঁই, ভোলা সাঁই ও শম্ভু সাঁই। তাঁর দাবি, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মে মাসেই দেবী বাপের বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়ে স্বামীকে দিয়েছিল। টাকা পাওয়ার পরেই তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে সন্তোষবাবুর অভিযোগ। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘটনার দিন অনেক দেরি করে তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছিল বলে সন্তোষবাবু দাবি করেন।

সন্তোষবাবু জানান, ঘটনার দিনই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল পুলিশ। ২৯ মে তাঁরা থানায় গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে চান। তাঁর দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত খুনের মামলা রুজু করা যাবে না বলে পুলিশ তাদের জানায়। ৩০ তারিখ ফের সেহারাবাজার ফাঁড়িতে গেলে সেখানেও পুলিশ এফআইআর না নিয়ে তাঁদের বের করে দেয় বলে অভিযোগ। সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘বোনের মৃত্যুর বিচার চেয়ে বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ তিনি জানান, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।

যদিও এফআইআর নিতে না চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রায়না থানার পুলিশ। ওই থানার এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, মামলা রুজু করে বধূর অপমৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বর্ধমানের পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।” অন্য দিকে চেষ্টা করেও ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Burdwan Complaint police officer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy