—প্রতীকী চিত্র।
পুরবোর্ড বাঁচাতে দলের ঝালদার একাধিক কাউন্সিলরকে যখন কলকাতায় বোঝানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে নেতাদের, সে সময়েই একটি অডিয়ো-ক্লিপ ঘিরেও পুরুলিয়ায় বিতর্কের মুখে পড়ল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোট-পর্বের ওই অডিয়ো ক্লিপে (সেটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোকে ব্যালট আগে থেকে বাইরে ফেলে রেখে পরে সে নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলতে হবে, এমন পরামর্শ দিতে শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি হাতিয়ার করে সরব হয়েছে তৃণমূল। নেপাল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ক্লিপে দু’জনের কথপোকথন শোনা গিয়েছে। সেখানে এক প্রান্তে নেপাল মাহাতো ও অন্য প্রান্তে তাঁরই ঘনিষ্ঠ এক কর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দাবি, ২ মিনিট ২ সেকেন্ডের এই ক্লিপে শোনা গিয়েছে, নেপাল অন্য প্রান্তের ব্যক্তিকে বলছেন, ব্যালটের একটি প্যাকেট নজরের আড়লে কোথাও ফেলতে হবে। কাউকে আগাম বলে রাখতে হবে, যে ছুটে এসে বলবে, ব্যালট পড়ে রয়েছে। তবে একটিই প্যাকেট ফেলতে বলা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে খবর হলেই জানাজানি হবে। অন্য প্রান্তের ব্যক্তি তখন বৃষ্টির মরসুমের কথা মনে করিয়ে দেন। উল্টো দিক থেকে তখন তাঁকে বলা হয়, জল দিয়ে ফেলে দিতে হবে। প্যাকেট থেকে কয়েকটা ব্যালট যেন বেরিয়ে থাকে।
এই অডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল কুমারের দাবি, ‘‘গণনার কারচুপি নিয়ে যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এই অডিয়ো ক্লিপই তার প্রমাণ। বিরোধী দলে থাকলেও আমরা নেপালবাবুকে শ্রদ্ধা করতাম। এই কথোপকথন শুনে তাঁর সম্পর্কে মানুষের কী ধারণা হবে?’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভোটের পরে বিরোধীরা টানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কয়েকটি ঘটনা থেকে আমাদেরও সন্দেহ হয়েছিল, কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার করছে। এ দিন ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ থেকে সেটাই প্রমাণ হচ্ছে।’’ বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার কথা বলবেন বলেও দাবি তাঁর।
যদিও বর্ষীয়ান নেতা নেপালের দাবি, ‘‘ভোট গণনার সময়ে অনেকেরই ফোন এসেছে। কেউ হয়তো ব্যালট পেয়ে আমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছিলেন, আমি ফেলে দিতে বলেছি। যদি কেউ ও ভাবে ব্যালট ফেলে দিত, তাহলে তো লোকজন দেখতে পেত। কারও না কারও নজরে তো পড়তই। আমরা কোথা থেকে ব্যালট ফেলব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy