Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Rampurhat

সামনে থেকে লড়াই, ৫ মাস বেতনই নেই

প্রাপ্য বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও বেতনের ব্যবস্থা করতে পারেননি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০১:২৪
Share: Save:

অতিমারির বিপক্ষে সামনের সারিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ওঁরা। অফিসের টেবিল মোছা, ঝাডু দেওয়া থেকে শুরু করে ফার্মাসিস্টকে ওষুধ দেওয়ার কাজে সহযোগিতার ফাঁকে করতে হচ্ছে করোনার লালারস সংগ্রহে সহযোগিতাও। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৮টি ব্লক হাসপাতালে চুক্তির ভিত্তিতে এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত ওই কর্মীরা এর পরেও গত ৫ মাস হল বেতনটুকু পাচ্ছেন না। তবু বন্ধ করেননি কাজ। অনেককে ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। প্রাপ্য বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও বেতনের ব্যবস্থা করতে পারেননি।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তিন বছর আগে এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তির ভিত্তিতে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাউসকিপিং পোস্টে তাঁরা এজেন্সির মাধ্যমে যুক্ত হন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতি ব্লকে দু’জন করে নিযুক্ত করা হয়। এজেন্সি তাঁদের মাসে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বেতন দিত। ৫ মাস হল সেই বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। এজেন্সি থেকে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বলার পরেও বেতন নিয়ে সমস্যা মিটছে না।

ওই কর্মীরা বোলপুরের একটি এজেন্সির মাধ্যমে বেতন পেয়ে থাকেন। এজেন্সির মালিক মানস পাল জানান, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয় থেকে কর্মীদের টাকা দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত সিএমওএইচ অফিস থেকে টাকা পেয়েছেন। তার পর থেকে আর কিছু পাননি। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৯ সালের মে থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারির বেতন নিজের পকেট থেকে দিয়ে এসেছি। কত দিন এই ভাবে দেওয়া যায়?’’

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ দে জানান, এজেন্সি ঠিক মতো কাগজ তৈরি করে জমা দেয়নি বলে টাকা পায়নি। এজেন্সির মালিক সে কথা মানতে চাননি। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার চেয়ারম্যান, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে বলে খবর। আশিসবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টা জানি। কর্মীদের প্রাপ্য টাকা পাওয়া উচিত ছিল। কর্মীরা যাতে বেতন পান সেটা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দেখতে বলা হয়েছে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE