দুই তৃণমূল কর্মী খুনের অপরাধে ১২ জন কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সন্দীপকুমার কুন্ডু দোষীদের যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক অপরাধীর কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা করে জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাবাস।
২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বীরভূমের মাড়গ্রাম-১ পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা ভুট্ট শেখের ভাই লাল্টু শেখ ও তাঁর ছায়াসঙ্গী নিউটন শেখকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পর দিন এলাকারই ২০ জন কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীর নামে মাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহত নিউটনের দাদা আমিরুল ইসলাম। পুলিশ ঘটনার রাতেই অন্যতম অভিযুক্ত, এলাকার কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করে। পরে পর্যায়ক্রমে ধরা পড়েন আরও ১১ জন। তাঁদের মধ্যে সুজাউদ্দিনের দুই ছেলেও ছিলেন। পলাতক ছিলেন বাকি আট জন।
আরও পড়ুন:
অবশেষে খুনের ঘটনার ৮৬ দিনের মাথায় আট জনকে পলাতক দেখিয়ে ধৃত ১২ জনের নামে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী অফিসার। ধৃতদের জেলে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চলে। এর মধ্যে একাধিক বার কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান অভিযুক্তেরা। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়।
বুধবার বিকেলে ৩টে নাগাদ ১২ জন অভিযুক্তকে সিউড়ি সংশোধনাগার থেকে রামপুরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে প্রবেশের পথে অন্যতম অভিযুক্ত সুজাউদ্দিন বলেন, ‘‘বিনা দোষে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। খুনের ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।’’ ১২ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করা হল।