গৃহনির্মাণ প্রকল্পে তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলল সিপিএম। শুক্রবার এই অভিযোগে রামপুরহাট শহর লোকাল কমিটি মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তার প্রতিলিপি মহকুমাশাসকের মাধ্যমে ‘স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)’ এবং জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার আর্জিও রেখেছে সিপিএম।
সিপিএম নেতৃত্বের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে রামপুরহাট পুরসভায় পর্যায়ক্রমে ৫,৬০০টি বাড়ি নির্মিত হবে। রামপুরহাট পুর এলাকায় প্রথম পর্যায়ে ১৩৪১টি বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভা কোনও নিয়ম না মেনে খেয়াল খুশি মতো ওই প্রকল্প রূপায়ণ করছে। জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, ‘‘এর ফলে ব্যাপক দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকছে।” এর জন্য উপযুক্ত তদন্ত করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ণের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি নিয়ে পুরসভার সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসও দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বাইরে থাকার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। উপপুরপ্রধান সুকান্ত সরকার অবশ্য এমন অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কেন? তাঁর জবাব, ‘‘প্রকল্পের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। সেখানে কী করে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে! তা ছাড়াও প্রকল্পের উপভোক্তার অ্যাকাউন্টেই দফায় দফায় টাকা আসে। এর মাঝে তো কেউ থাকে না।” তাঁর দাবি, কোনও উপভোক্তাই এখনও টাকা পাননি।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, প্রকল্পটিতে পিলার ছাড়া বাড়ি তৈরির উল্লেখ আছে। অথচ পুরসভা থেকে ঠিকাদারকে দিয়ে পিলার তৈরি করে বাড়ি করার কথা বলা হচ্ছে। সুকান্তবাবু এ ব্যাপারে জানান, এই প্রকল্পের কাজ দেখছেন পুরসভার দু’জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক। তাঁরাই কাজটি দেখভাল করছেন। এর মাঝে কেউ নেই। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভা এই কাজের জন্য কোনও ঠিকাদার নিয়োগ করেনি। করবেও না। এটা সম্পূর্ণ উপভোক্তার ব্যাপার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy