জমিতে চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় জলই মিলছে না।
এমনই অভিযোগ তুলে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন পাড়ুইয়ের যুবক মিঠুন গড়াই। রবিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন দাবি করলেও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোথাও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি মিঠুন। এ বারও অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্ত বাতিকার পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান নারায়ণ দাস।
গত বুধবারই নবান্নে এসে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে সরব হন মিঠুন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের পরামর্শও মেনে বৃহস্পতিবার পাড়ুই থানায় নারায়ণ-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা এফআইআর করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, নারায়ণ তাঁর কাছে পুকুর সংস্কার ও চাষ করার জন্য তিন লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার তোলা না দেওয়ায় ওই নেতা তাঁর কেনা একটি ধান কাটার মেশিন খেতে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। এমনকী, অভিযোগ দায়েরের পরে তদন্তের নামে পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করছে জানিয়ে শুক্রবার ফের নবান্নে হাজির হন ওই যুবক। বর্ষার মরসুমে জমিতে চাষ করার জন্য পুলিশি সাহায্য চেয়ে শনিবারই বোলপুরের আইসি কল্যাণ মিত্রের দ্বারস্থ হয়েছিল গড়াই পরিবার।
এ দিন মিঠুন বলেন, ‘‘নারায়ণের হুমকিতে সেচের জল দিচ্ছেন না এলাকার পাম্প মালিকেরা। প্রশাসন সুবিচার করুক।’’ মিঠুনের ওই দাবিকে সমর্থন করেছেন স্থানীয় এক পাম্প মালিকও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলেরা নেতারা ওকে জল দিতে বারণ করেছে।’’ যদিও অভিযোগ মানতে চাননি নারায়ণ। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘সেচের জল না দেওয়ার জন্য আমি কাউকে বলিনি। বারণ করার আমি কে? অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তদন্ত হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।’’ ওই ঘটনায় সাঁইথিয়ায় দলীয় কাজে এসে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূলের এমন অনেক অনিন্দ্য রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy