হলুদ ফোঁটা। সিউড়ি ডিআরডিসি হলের কাছে। নিজস্ব চিত্র
আকাশ থেকে ঝরে পড়েছে হলুদ-রংয়ের বৃষ্টি। তার চিহ্ন রয়ে গিয়েছে গাড়ির কাচ, বনেটে। শুক্রবার জেলা সদর সিউড়িতে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছেন অনেকেই। প্রশাসন ভবন, থানা চত্বর, জেলা স্কুলের মাঠে দাঁড়ানো গাড়িতে লেগে থাকা হলুদ ফোঁটা দেখে তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠেছে, এটা অ্যাসিড বৃষ্টি নয় তো।
সাধারণত শিল্পাঞ্চলে কারখানা থেকে নির্গত সারফার-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রিক অ্যাসিড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ ক্রামগত বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে জমা হতে থাকলে তার জন্য অ্যাসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু, সিউড়ি শহর তো তেমন দূষণ প্রবণ নয়। তা হলে কেন অ্যাসিড বৃষ্টি, তা নিয়ে নানা জনের নানা প্রশ্ন। কেউ কেউ আবার বলছেন, ‘‘ছাদে জামা কাপড় শুকানোর সময় এমন দাগ দেখা যাচ্ছে।’’ বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী শুভাশিস গড়াই বলছেন, ‘‘বিষয়টি পরীক্ষা সাপেক্ষে। এত দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তবে আমরা নিয়শ্চই সেটা খতিয়ে দেখব এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’
সিউড়ির বাসিন্দা তথা দুর্গাপুর এনআইটির পদার্থবিদ্যার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হীরক চৌধুরী বলছেন, ‘‘সিউড়ির মতো কম দূষণ এলাকায় অ্যাসিড বৃষ্টি হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করেই জানতে হবে। তবে সত্যিই যদি হয়ে থাকে সেটা যথেষ্ট উদ্বেগের।’’ হীরকবাবুর সংযোজন, ‘‘সিউড়ি শহরের কাছে শিল্পাঞ্চল বলতে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেখান থেকে সারফার-ডাই-অক্সাইড ক্রমাগত নির্গত হতে থাকলে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। সেটা সবচেয়ে ভাল বলতে পারবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রাস্তায় ক্রমাগত উড়তে থাকা ধুলো অথবা পাঁচামি এলাকায় ক্রাশার এলাকা থেকে প্রচুর ধুলো উড়েও এমনটা ঘটতে পারে। কী থেকে ঘটেছে সেটা নির্ণয় করা ভীষণ জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy