নিহত সেনা জওয়ান শৌভিক হাজরা। — নিজস্ব চিত্র।
চোখের জলে কাশ্মীরের কুপওয়ারায় তুষারঝড়ে নিহত সেনা জওয়ান শৌভিক হাজরাকে শেষ বিদায় জানাল বাঁকুড়ার ওন্দার খামারবেড়িয়া গ্রামের মানুষ। গত শুক্রবার কাশ্মীরের মাচাল সেক্টরে টহল দেওয়ার সময় ভয়ঙ্কর তুষারঝড়ে জখম হন শৌভিক। তাঁকে ভর্তি করানো হয় কুপওয়ারা হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় শৌভিকের। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ সেনা জওয়ানদের কাঁধে চড়ে খামারবেড়িয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় শৌভিকের কফিনবন্দি দেহ। গভীর রাতে গান স্যালুট এবং এলাকার অগণিত মানুষের চোখের জলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বছর একুশের শৌভিকের।
গত শুক্রবার কাশ্মীরের মাচাল সেক্টরে টহলরত অবস্থায় তুষারঝড়ে গুরুতর জখম হন শৌভিক। ওই রাতেই তাঁকে উদ্ধার করে কুপওয়ারা সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেনাবাহিনীর তরফে। শনিবার সকালে শৌভিকের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয় খামারবেড়িয়া গ্রামে। তুষারঝড়ে শৌভিকের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তার পর থেকে শুরু হয় প্রতীক্ষা।
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ শ্রীনগর থেকে প্রথমে দিল্লি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় শৌভিকের দেহ। পরে সেখান থেকে কার্গো বিমানে রবিবার সন্ধ্যায় দেহ আনা হয় পানাগড় সেনা ছাউনিতে। সেখান থেকে সড়কপথে রাত ১০টা নাগাদ সেনাবাহিনী কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয় খামারবেড়িয়ায় শৌভিকের গ্রামের বাড়িতে।
রবিবার বিকেল থেকে এলাকার মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন শৌভিকের বাড়িতে। সেনা জওয়ানদের গাড়ি গ্রামে পৌঁছতেই কান্নার রোল ওঠে গ্রাম জুড়ে। ১৫ মিনিট বাড়িতে দেহ রাখার পর নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় শ্মশানে। সেখানে শৌভিককে গান স্যালুট দেন জওয়ানরা। ছিলেন এলাকার হাজার হাজার মানুষও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy