Advertisement
E-Paper

প্রতিষেধক দেওয়ার কেন্দ্র কমল

পুরুলিয়ার ক্ষেত্রেও প্রাথমিক ভাবে ছ’টি জায়গা থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা  

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:১০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আজ, শনিবার থেকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। তবে তার আগে স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে বাঁকুড়ায় ভ্যাকসিন সেন্টারের সংখ্যা কমল। বাঁকুড়ায় দু’টি স্বাস্থ্যজেলা— বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দু’টি মিলিয়ে মোট পনেরোটি কেন্দ্র থেকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে প্রথমে ঠিক হয়েছিল। সেই মতো শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রস্তুতি। তবে স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে শনিবার দু’টি স্বাস্থ্য জেলায় মোট আটটি কেন্দ্রে প্রতিষেধক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।

পুরুলিয়ার ক্ষেত্রেও প্রাথমিক ভাবে ছ’টি জায়গা থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে। জায়গাগুলি হল— পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, ঝালদা ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কোটশিলা গ্রামীণ হাসপাতাল, বলরামপুরের বাঁশগড় গ্রামীণ হাসপাতাল ও হুড়া গ্রামীণ হাসপাতাল। পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত জানিয়েছেন, প্রতিষেধক দেওয়ার প্রক্রিয়া যাতে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে সরাসরি দেখা যায়, সে জন্য উপযুক্ত ইন্টারনেটের পরিকাঠামো রাখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আগে ঠিক হয়েছিল, বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলায় ১০টি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলায় ৫টি টিকাকেন্দ্র থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। তবে বুধবারই স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রের সংখ্যা কমানোর। বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলায় ৫টি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় ৩টি কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলায় প্রতিষেধক দেওয়া হবে বাঁকুড়া মেডিক্যাল, ছাতনা সুপার স্পেশালিটি, গঙ্গাজলঘাটির অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতাল, খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল ও সিমলাপাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলার কেন্দ্রগুলি হল— বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল, বিষ্ণুপুর পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও জয়পুর গ্রামীণ হাসপাতাল।

বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে সোম, মঙ্গল, শুক্র ও শনি— সপ্তাহের এই চার দিন প্রতিষেধক দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে দৈনিক ১০০ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী তা পাবেন। পুরুলিয়ায় প্রতিষেধক দেওয়া হবে সোম, বুধ, বৃহস্পতি, শনি— সপ্তাহের এই চার দিন। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বুদ্ধদেব মণ্ডল জানান, আট দিনের মধ্যে প্রথম দফার প্রতিষেধক দেওয়া শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন প্রতিষেধক দেওয়ার কেন্দ্র কমানো হল, তা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। জেলা স্বাস্থ্যদফতরের কর্তাদের একাংশ জানান, করোনার প্রতিষেধক প্রথম বার নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার কথা। তাঁদের মতে, যত প্রতিষেধক এখনও এসেছে, তাতে দ্বিতীয় ডোজ় এখনই দেওয়া যাবে না।

স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিষেধক নেবেন। প্রতিষেধক এসেছে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় ৬,৪৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিষেধক নেবেন। এসেছে সাড়ে ৬ হাজার। ওই স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, দ্বিতীয় ডোজ় নিশ্চিত করতেই কেন্দ্র কমানো হয়েছে।

যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ স্বাস্থ্যদফতরের কর্তাদের অন্য একটি অংশ। তাঁদের অভিমত, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষেধক দেওযার কেন্দ্র বাড়ালে হুড়োহুড়ি বাড়বে। তাতে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই ঝুঁকি এড়াতেই কেন্দ্র কমানো হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক না আসার তত্ত্বকে উড়িয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, “করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নিতে হয় ২৮ দিন পর। দশ দিনের মধ্যেই আরও করোনা ভ্যাকসিন জেলায় আসার কথা। ফলে কোনও ভাবেই টান পড়ার কথা নয়।”

সিএমওএইচ (বাঁকুড়া) শ্যামল সরেন ও সিএমওএইচ (বিষ্ণুপুর) জগন্নাথ সরকার বলেন, “করোনা ভ্যাকসিন কোল্ড চেন পয়েন্টে পাঠানো হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুতিতে কোনও রকমের ফাঁক নেই। ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা পুরোপুরি তৈরি রয়েছি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি।”

Coronavirus COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy