দু’রকমের বালতি। নিজস্ব চিত্র
পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার জন্য বালতি বিলি আগেই করা হয়েছে। কিন্তু আর কোনও পরিকাঠামো এখনও গড়ে তুলতে পারেনি সিউড়ি পুরসভা। তাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাস্তব রূপায়ণে এখনও ‘ব্যর্থ’ সিউড়ি পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস আগে পরিবেশ আদালতে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে সমস্ত পুরসভায় এক লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, সেই সমস্ত পুরসভায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পরেই কলকাতায় একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে পুরপ্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, দেরি না করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। পচনশীল এবং অপচনশীল, এই দুই প্রকার বর্জ্যকে আলাদা করার কথাও বলা হয়। তাই পুর এলাকার বাসিন্দাদের পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ রাখার জন্য দুটি পৃথক ডাস্টবিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মত পুরসভার পক্ষ থেকে অপচনশীল বর্জ্য পদার্থের জন্য নীল এবং পচনশীল বর্জ্য পদার্থের জন্য সবুজ বালতি বিলি করা হয়। সিউড়ি পুরসভার প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডে ওই বালতি বিলি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
পুরসভার অন্দরের খবর, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতো কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে গেলে কেবল বালতি বিলি নয়, পৃথক দুটি গাড়ির প্রয়োজন। তাছাড়া দুই ধরনের বর্জ্যের জন্য দুটি পৃথক ফেলার জায়গারও প্রয়োজন। কিন্তু পুরসভার কাছে সে সব কিছুই নেই। ফলে বালতি বিলি হলেও বালতির প্রকৃত ব্যবহার হচ্ছে না। শহরবাসীর অনেকের দাবি, যদি শহরবাসী বালতি ব্যবহার করতে শুরু করেন তাতেও লাভ হবে না। কারণ পুরসভাকে সেই বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে এক জায়গায় ফেলতে হবে। ফলে লাভ কিছু হবে না। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য কাজি ফরজুদ্দিন বলছেন, ‘‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে বালতি বিতরণ আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল। এই নিয়ে কাজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy