E-Paper

সম্মেলন দলের, খয়রাশোল কী করবে?

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি কী ভাবে, সেই লক্ষ্যে দলের সব স্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শনিবার সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি রাজনৈতিক সম্মেলন ডেকেছে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:০৩
সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সম্মেলন হবে আজ। তারই প্রস্তুতি চলছে শুক্রবার।

সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সম্মেলন হবে আজ। তারই প্রস্তুতি চলছে শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

দলের ‘দ্বন্দ্বে’ জর্জরিত খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী-র আয়োজনে তাল কেটেছিল গত ২ তারিখ। আজ, শনিবার জেলা নেতৃত্বের ডাকে ‘রাজনৈতিক সম্মলনে’ খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের যুযুধান দু’পক্ষ সাড়া দেবে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ব্লক সভাপতির মাধ্যমে ওই সম্মেলনের বার্তা কেন পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি কী ভাবে, সেই লক্ষ্যে দলের সব স্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শনিবার সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি রাজনৈতিক সম্মেলন ডেকেছে জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি। কোর কমিটির সব সদস্যের (৯ জন) পাশাপাশি জেলার বিধায়ক, দলের বিভিন্ন পদাধিকারী, প্রতিটি ব্লকের সভাপতি, শাখা সংগঠনের সভাপতিরা, ১৬৭ জন অঞ্চল সভাপতি, প্রতিটি বুথের সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্যরা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহসভাপতি এবং পুরপ্রধান উপপুরপ্রধান প্রমুখ থাকবেন ওই সম্মেলনে।

তবে, খয়রাশোল ব্লকের নেতাদের একাংশের ওই সম্মেলনে হাজির থাকা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। সমস্যার মূলে সেই ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী ও তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর কোন্দল। যেহেতেু ব্লক সভাপতির সঙ্গে ব্লক নেতাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের বনিবনা নেই, তাই ব্লক সভাপতির মাধ্যেমে পাঠানো আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী গোষ্ঠীতে। ওই গোষ্ঠীর নেতাদের একাংশ বলছেন, ‘‘শনিবার যাব কি না, নিশ্চিত বলতে পারছি না। ব্লক সভাপতিকে মানা আর আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কোর কমিটিও কিছু করছে না এ ব্যাপারে। ’’ অন্য দিকে, কাঞ্চনের বক্তব্য, ‘‘জেলার নির্দেশ যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কে যাবেন বা যাবেন না, সেটা তাঁদের বিষয়। আমি তো ব্লক সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। দল তা বিবেচনা না করলে কী করব!’’

চলতি বছরের শুরু থেকেই খয়রাশোলে চরম আকার নিয়েছে দ্বন্দ্ব। ব্লক সভাপতির বিরোধী শিবির আলাদা ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে। ব্লকের বিজয়া সম্মিলনী যাতে দুই গোষ্ঠী আলাদা ভাবে না-করে, তার জন্য হস্তক্ষেপ করে কোর কমিটি। শেষ পর্যন্ত ২ ডিসেম্বর ওই বিজয়া সম্মিলনী হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

কাঞ্চন-বিরোধী এক নেতা শুক্রবার বলেন, ‘‘ঠিক ছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (ব্লক সভাপতিকে নিয়ে) দ্রুত নেবে দল। কিন্তু স্থায়ী সামাধান খুঁজতে দেরি করছেন নেতৃত্ব।’’ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সফল রাজনৈতিক সম্মেলন ডাকা হয়েছে। খয়রাশোলে সফল ভাবে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার কী হয়, দেখা যাক।’’ দলের কোর কমিটির এক সদস্য জানান, নলহাটি ২ ব্লকের সমস্যা নিয়ে (সেখানে ব্লক সভাপতি নেই) ১৬ ডিসেম্বর রামপুরহাটে বসবেন কোর কমিটির সদস্যেরা। খয়রাশোলের স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি কোর কমিটিই দেখছে। ১৬ তারিখ খয়রাশোল নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri khayrasole TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy