মাঠেই বিজয়া সম্মিলনী। বসে আছেন কাজল শেষ, শতাব্দী রায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার মুরারইয়ে কবি নজরুল কলেজে। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ঘিরে বুধবার বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল মুরারই ১ ব্লকের কবি নজরুল কলেজে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও সাংসদ শতাব্দী রায় আসার পরেই কলেজের ভিতরে ছোট পরিসরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘর ছেড়ে কলেজ মাঠে সভা করতে হয়। সেখানে কর্মীদের পছন্দের লোককেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় প্রার্থী করবেন বলে আশ্বাস দেন কাজল শেখ।উপস্থিত ছিলেন মুরারইয়ের বিধায়ক মোশারফ হোসেন, তৃণমূলে মুরারই ১ ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সেরাজুল ইসলাম খান প্রমুখ।
এ দিন মুরারই ১ ব্লকের কবি নজরুল কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে খবর, পরিসর এমনিতেই ছোট ছিল। তার উপরে আসার কথা ছিল কাজল ও শতাব্দী। তাঁর এলেই ভিড়ের চাপে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
শতাব্দী বলেন, ‘‘বাইরে এত কর্মীর ভিড় ঘরে কয়েক'শো কর্মী নিয়ে সম্মেলন করব না। ফাঁকা মাঠে সকল কর্মী নিয়ে বিজয়া সম্মেলন করব। তৃণমূল দলের আদর্শ এটাই। কর্মী ছাড়া দল নয়।’’ এর পরে নেতৃত্ব বেরিয়ে কলেজের মাঠে চলে যান। কর্মীরাও তালা ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেন।
বিনয় বলেন, ‘‘কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে সম্মেলনে চলে এসেছেন। কর্মী বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এতে বিশৃঙ্খলার কিছু হয়নি। কর্মীদের আবেদনে ফাঁকা মাঠে সম্মেলন করেছি।’’ মাঠে মাইক ছাড়াই কাজল বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘২৪ সালেও আপনারা যাঁকে চাইবেন তাঁকেই প্রার্থী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাগ, দুঃখ না করে লোকসভা ভোটে রাজ্যের প্রত্যেকটি আসনে তৃণমূলকে জয়ী করার জন্য এখন থেকেই প্রচার শুরু করুন।’’ শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘সারা বছর যে দল আপনাদের সঙ্গে আছেন তাঁদের সঙ্গে থাকবেন না যে দল পরিযায়ী শ্রমিকের মতো ভোটের আগে আসবেন তাঁদের সঙ্গে থাকবেন? আপনারা বুথে বুথে প্রচার শুরু করে মমতাদির হাত শক্ত করুন।"
এ দিনের সম্মেলনে মুরারই ও পলশা পঞ্চায়েতের বেশ কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। যদিও এই প্রসঙ্গে সিপিএমের
জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, ‘‘ভয় দেখিয়ে দলের সদস্যদের যোগদান করানো হচ্ছে। তাঁরা দল ছাড়লে সে ভাবে দলে প্রভাব পড়বে না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy