Advertisement
E-Paper

জেলায় বাড়ল চারশো পুজো

গত বছর জেলা পুলিশের আওতায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত  বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা ছিল ২০৬৫টি। এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৫০টির বেশি।

দয়াল সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫৮
উদ্বোধন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পরে প্রদীপ জ্বেলে সিউড়ির তিলপাড়ার একটি পুজো উদ্বোধন করছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। বৃহস্পতিবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

উদ্বোধন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পরে প্রদীপ জ্বেলে সিউড়ির তিলপাড়ার একটি পুজো উদ্বোধন করছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। বৃহস্পতিবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনা-আবহে এ বারের পুজো নিয়ে সংশয় ছিল। শেষমেষ পুজো তো হচ্ছেই, উল্টে শ’চারেক বারোয়ারি পুজো বেড়েছে শুধু বীরভূমেই। জেলা পুলিশের তথ্য সেই কথাই বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের আধিকারিক বা পুজো উদ্যোক্তাদের অনেকেই মানছেন, এই সংখ্যাবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান।

গত বছর জেলা পুলিশের আওতায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা ছিল ২০৬৫টি। এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৫০টির বেশি। আবেদন ক্রমে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটির বেশি টাকার চেক পুজো উদ্যোক্তাদের বিলি করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রেই খবর, এ বার রাজনগর ব্লকে ৭০টি পুজো অনুদান পেয়েছে। গত বার যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৫৮টি। খয়রাশোলে অনুমোদিত বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ হয়েছে। মহম্মদবাজারে ১১৮টি পুজো অনুদান পেয়েছে। গতবারে সংখ্যাটা অনেক কম ছিল। দুবরাজপুরের দুটি থানায় মোট অনুমোদিত বারোয়ারি পুজো ১১৮টি। কিন্তু, অনুদান পেয়েছে আরও বেশি সংখ্যক পুজো। গোটা জেলা জুড়েই ছবিটা এক।

প্রশাসনের কর্তাদের অনেকেই মানছেন, প্রতি ব্লকেই কম বেশি ১০ থেকে ২০টি করে পুজো স্থানীয় থানার মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে। এটার পিছনে মূল কারণ একদা পারিবারিক পুজো এ বার ‘বারোয়ারি’ পুজোর শর্ত পূরণ করে আবেদন করেছে ৫০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পেতে। অনুদান পেতে এমন পুজো কমিটিও আবেদন করেছে, যারা এই প্রথমবার পুজো শুরু করার ভাবনা ভেবেছে বা মাত্র দু’চার বছর ধরে পুজো করছিল। এমনও হয়েছে সরকারি অনুদান মিলেছে, অথচ স্থানীয় ব্লক অফিস থেকে পুজো করার অনুমোদন পায়নি।

ভিড়ের কারণে সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, তার জন্য এ বার পুজো কমিটিগুলিকে বেশ কিছু নিয়ম, নিষেধাজ্ঞা মানার নির্দেশ দিলেও ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রায় ৩৭ হাজার পুজো কমিটির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ৫০ শতাংশ ফি মকুব করার ঘোষণাও করেন। তার পরেই অনুদান পেতে আবেদনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

সিভিল অ্যাডমিনেস্ট্রেশন পুজোর অনুমতি দিলেও অনুদান দেওয়ার বিষয়টি বিবেচিত হয়েছে জেলা পুলিশের সিদ্ধান্তেই। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘নতুন পুজো করছে এমন কোনও পুজোর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। আগে যে পুজোগুলি অনুদান পেয়েছে, সেগুলির বাইরে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে আবেদন করা হয়েছে দেখেই সাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এ দিক ও দিক হতে পারে।’’ তবে এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে প্রশাসন। কারণ, যে পুজো কমিটি অনুদান পেয়েছে প্রত্যেককে কোভিড মোকাবিলায় সমস্ত শর্ত ও বিধিনিষেধ মানতে হবে বলে মুচলেকা দিতে হয়েছে। এতে পুজো কমিটিগুলির উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

Durga Puja 2020 Siuri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy