Advertisement
১৭ মে ২০২৪

জমাটি প্রচার শেষ রবিবারে

ভোট বাজারে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। আর আগুনে রোদ মাথায় নিয়েই দিনভর প্রচার চালালেন প্রার্থীরা। বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট থেকে শাসকদল তৃণমূল, বাড়ি বাড়ি প্রচারেই জোর দিলেন নেতারা। শক্তঘাঁটির হাল জেনে নেওয়া থেকে দুর্বলঘাঁটিতে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা— নানা ছবিই ধরা পড়ল রবিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩২
Share: Save:

ভোট বাজারে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। আর আগুনে রোদ মাথায় নিয়েই দিনভর প্রচার চালালেন প্রার্থীরা। বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট থেকে শাসকদল তৃণমূল, বাড়ি বাড়ি প্রচারেই জোর দিলেন নেতারা। শক্তঘাঁটির হাল জেনে নেওয়া থেকে দুর্বলঘাঁটিতে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা— নানা ছবিই ধরা পড়ল রবিবার।

নজরে ইলামবাজার
বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইলামবাজারকে কার্যত পাখির চোখ করে প্রচারে জোর আনছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রবিবার তাই অর্ধ দিবসকে কাজে লাগিয়ে, ব্লক জুড়ে একাধিক এলাকায় প্রচার, মিছিল এবং অঞ্চল কমিটির বৈঠকে মাতল বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরা। তবে সন্ধ্যায় পাখি যেমন বাসায় ফেরে, ঠিক তেমনই যুযুধান শিবিরের প্রার্থীরা নিজের শহরে প্রচারে নামল। এ দিন সকাল থেকে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে ইলামবাজারের ঘুড়িষা পঞ্চায়েত এলাকায় হাজির জোট প্রার্থী তপন হোড়। অজয় নদের লাগোয়া এলাকায় তাঁরা জোর কদমে প্রচার চালায়। নদী-সংলগ্ন গঙ্গাপুর, ভরতপুর, নারায়ণপুর, গোপীনাথপুর থেকে শুরু করে ডমনপুর, উদয়পুর, ক্ষুদ্রপুর ও আকম্বা পর্যন্ত চলে তাঁদের প্রচার। জোট শরিক জেলা কংগ্রেসের এক নেতা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘‘সীমিত সময়ের মধ্যে যতটা বেশি এলাকা টানা যায়, ততই ভাল।’’ জোট প্রার্থী তপন হোড় বলেন, “দিনের বেলা ইলামবাজারে প্রচার কর্মসূচি সেরে, সন্ধ্যায় বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকায় জোটের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রয়েছে ভোট নিয়ে নানা আলোচনা।”

মিছিলে পদ্ম

এ দিকে এ দিন সকাল থেকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ইলামবাজারে মিছিলে নামে বিজেপি। বোলপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে জেলা কমিটি পর্যবেক্ষক নরেশ কোনার, জেলা কমিটি সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সিংহরা ইলামবাজারে মিছিল করেন। মিছিল গোটা শহর পরিক্রমা করে। দলের নেতা চিত্তরঞ্জন সিংহ বলেন, “যারা বিজেপি গেল গেল রব তুলছিলেন, তাঁরা দেখুক ইলামবাজার এবং সংলগ্ন এলাকায় দল কেমন আছে।”

আছেন চন্দ্রও

তৃণমূলের বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিংহও রবিবার সকাল থেকে কার্যত নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন ইলামবাজার জয়দেব এলাকায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার থেকে শুরু করে পথসভা করেন জয়দেবে। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘এই ব্লকের গুরুত্ব বুঝে, সময় সুযোগ পেলেই কোনও না কোনও এলাকায় সটান হাজির হন চন্দ্রনাথ।’’ এ দিনই বিলাতি, বাতিকার এবং মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতে দলের অঞ্চল কমিটির সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। দুপুরে বোলপুর শহরের মুখ্য রাস্তা এবং একাধিক ওয়ার্ডে দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে বিরাট মিছিল এবং শোভাযাত্রা বের হয়।

রোদে পুড়ে

‘‘মানুষের এত অভাব অভিযোগ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। রাজনীতির আঙিনায় পা না রাখলে জানতেই পারতাম না,’’—প্রচারের ফাঁকে কথাগুলি বলছিলেন সাঁইথিয়ার বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। স্থান মহম্মদবাজারের মাধবডিহি গ্রাম। শেষ রবিবার বলেই রোদ মাথায় পথে নেমেছেন। তেতে পুড়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী নীলাবতী সাহাও। বললেন, ‘‘কষ্টটা দূর হয়ে যায়, যখন গাঁ-গঞ্জের খেটে খাওয়া লোকগুলোর মুখ দেখলে।’’ চিনি জল মুড়ি খেয়ে রোদ মাথায় প্রচারে নেমেছিলেন সিপিএমের ধীরেন বাগদি। বীরপুর, রাসপুর, শিউলি পাহাড়ি হয়ে একের পর এক গ্রাম ঘুরতে ঘুরতে বলেন, ‘‘অনেকটা পথ যেতে হবে।’’

পাথর শিল্পাঞ্চলে

মাঝে আর পাঁচটা দিন। তাই সকাল সকাল রামপুরহাটে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন প্রার্থীরা। শনিবার গভীর রাতে মহম্মদবাজার থানার সেকেড্ডা অঞ্চল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। রবিবার সকাল সাতটাতেই খোঁজ নিতেই জানা গেল ফের বেড়িয়ে পড়েছেন সেই মহম্মদবাজার এলাকায়। এ দিনের গন্তব্য কাপিষ্টা অঞ্চল। এ দিন সকাল সাতটাতেই বেড়িয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তাঁরও গন্তব্য ছিল মহম্মদবাজারের রামপুর এলাকা।

তেল মেখে

গরম এড়াতে হাঁসন বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল স্নানের পর সারা গায়ে নারকেল তেল মেখে বের হয়! বেরিয়ে ছিলেন এ দিনও! রোদের জন্য সকাল সকাল নলহাটি ২ ব্লক এলাকায় প্রচারে বেড়িয়ে যান তিনি। পোশাক ছিল, ফুল হাতা সাদা রঙের সুতির পঞ্জাবি-পায়জামা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bankura campaign Election campaign end
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE