রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে বিশ্বভারতীর বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন নোয়াম চমস্কির মতো দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের। — ফাইল ছবি।
‘অন্যায়’ ভাবে এক শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন শিক্ষা জগতের বিশিষ্টদের একাংশ। চিঠিতে সরাসরি কোথাও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম করা হয়নি। কিন্তু যে ভাবে চিঠির ছত্রে ছত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলা হয়েছে, তাতে শিক্ষাবিদদের চিঠির নিশানায় যে তিনিই, তা এক প্রকার স্পষ্ট। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন নোয়াম চমস্কি থেকে শুরু করে অমর্ত্য সেনের কন্যা অন্তরা।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা বিশিষ্টদের চিঠি by Saubhik Debnath on Scribd
সম্প্রতি বিশ্বভারতীতে চাকরি গিয়েছে অর্থনীতির শিক্ষক তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের। এ বার তা নিয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন শিক্ষা জগতের বিশিষ্টরা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যে ভাবে সুদীপ্তকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন যোগেন্দ্র যাদব, আব্দুল কাফি, সুমিত সরকার, প্রভাত পট্টনায়ক, নিবেদিতা মেনন, জয়তী ঘোষের মতো ২৬১ জন বিশিষ্ট শিক্ষক। এ ছাড়াও একই দাবিতে একটি অনলাইন পিটিশনেও সই করছেন বিদ্বজ্জনেরা। তাতেই স্বাক্ষর রয়েছে অমর্ত্য সেন এবং নবনীতা দেবসেনের কন্যা অন্তরা দেবসেনেরও। এখনও পর্যন্ত ১৩৮৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সই করেছেন। তাঁরা যথেষ্ট খেদের সঙ্গে জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর মান ক্রমশ নামছে। বাড়ছে কেবল অব্যবস্থা আর স্বেচ্ছাচারিতা। এ জন্য দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য।
বিশিষ্টরা রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ প্রার্থনার পাশাপাশি সুদীপ্তের ‘বেআইনি’ ছাঁটাই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিশ্বভারতীর তরফে অবশ্য এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy