চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র।
গন্ধেশ্বরীর নাব্যতা বাড়াতে নদীবক্ষে খননকাজ শুরু হয়েছে বাঁকুড়ায়। তবে কেশিয়াকোল ও বাঁকুড়া শহরের সতীঘাটের মধ্যে সংযোগকারী কাঠের সেতুটি কাজে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে সেচ দফতরের আশঙ্কা। বিষয়টি নিয়ে দফতরের তরফে বাঁকুড়া পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহর লাগোয়া জুনবেদিয়ায় প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা গন্ধেশ্বরীর খাল সংস্কার, শহরের সতীঘাট থেকে গন্ধেশ্বরী সেতু পর্যন্ত নদীর প্রায় ৭২০ মিটার অংশের মাটি তুলে জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও সতীঘাট সংলগ্ন কয়েকশো মিটার পাড় বাঁধানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। কাজের জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।
ফি বর্ষায় ভারী বৃষ্টিতে গন্ধেশ্বরীর জল উপচে বাঁকুড়া শহর ও শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলের একাংশকে প্লাবিত করে। কার্যত বানভাসি অবস্থা হয় বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া, কেশিয়াকোল, মোলডুবকা, সতীঘাট, রামকৃষ্ণপল্লি-সহ বিভিন্ন এলাকায়। ঘরে জল ঢুকে, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গন্ধেশ্বরীর নাব্যতা কমে যাওয়াই এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে দাবি অনেকের।
দফতর সূত্রে খবর, বর্ষার মরশুম শুরুর আগেই তাই নদীতে খননকাজ সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হবে বর্ষার পরে। তবে, খননের জন্য চিহ্নিত জায়গায় কাঠের সেতুটি এসে পড়ায় সমস্যা দানা বেঁধেছে। সেতুটির গঠনগত কারণ সমস্যার মূলে বলে দফতরের দাবি।
কাঠের সেতুটির একাংশ বাঁকা ভাবে রয়েছে জানিয়ে দফতরের এক আধিকারিক জানান, সেতুটি বর্তমানে যে ভাবে রয়েছে, তাতে নদীর প্রায় ১২৫ মিটার অংশে খননকাজ চালানো সম্ভব নয়। ফলে ওই জায়গার মাটি রয়েই যাবে। বর্ষায় জলের তোড়ে এমনিতেই সেতু ভেসে যাবে। তবে নদীর ওই অংশের মাটি ধুয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ফলে জল উপচে যাওয়ার প্রবণতা থেকে যাচ্ছে। কাঠের সেতুটিকে সোজা করলে সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে দাবি। বাঁকুড়া সেচ দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস পাত্র বলেন, “গোটা বিষয়টি আমরা পুরসভাকে জানিয়েছি।”
বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে কেশিয়াকোলের মানুষের যোগাযোগের বড় মাধ্যম ওই কাঠের সেতুটি। সেখানে স্থায়ী সেতু গড়া হচ্ছে। সেতু না হওয়া পর্যন্ত কাঠের সেতু খুলে দেওয়া যাবে না। তবে গন্ধেশ্বরীর নাব্যতা বাড়ানোরও দরকার রয়েছে। সমস্যা সমাধানে আমরা সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy